রোমানুল ইসলাম সোহেব, দৌলতখান থেকে,
ভোলা দৌলতখানে গত কয়েকদিনে উজানের পানির বৃদ্ধি ও প্রবল শ্রোতের কারনে মেঘনা নদী ভাঙ্গন ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। দৌলতখান পৌরসভার ১ ও ২ নং ওর্য়াডের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা বেড়ীবাধের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তীর র্বতি কয়েকশত পরিবার চরম আতস্ক উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, গৃহহারা শত শত পরিবার গুলো বাড়ি ঘর ছেড়ে পথে পথে বসেছ। কোথাও কোন মাথা গোজার ঠাই নেই।বেড়ীবাধ রক্ষা করা না হলে দৌলতখান বাসির কয়েক কোটি টাকার সম্পদ হারাবে। যা কোন দিন ফিরে আর পাবেনা। তা ছাড়া বেড়ীবাধের পাশেই থানা ও হসপিটাল রয়েছে। মাত্র কয়েগ গজ দুরে মেঘনা নদী। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় বেড়ি বাধের উপরে থাকা মানুষ গুলো তাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে বেড়ি বাধের পাশেই স্তুপ করে রেখেছে, কোথায়ও মাথা গোজার ঠাই হচ্ছেনা তাদের। গৃহ হারা মানুষ গুলোর কান্নায় আকাশ বাতাস বাড়ি হয়েগেছে। স্থানীয়রা জানান ঠিকাদার সময় মত কাজ না করায় আজ আমাদের এই দুর গতি।
ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রায় তিন মাস পূর্বে এক কোটি টাকা ব্যায়ে ১৮ হাজার জিওব্যাগ ড্যামমিং করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের অভহেলা ও যথা সময়ে কাজ না করায় ব্যাপক হারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া ১৮ হাজার জিওব্যাগ এর পরির্বতে ১৬ হাজার জিওব্যাগ ড্যামমিং করা হয়েছে। এর আগে প্রায় এক বছর পূর্বে একই স্থানে ২৫ হাজার জিওব্যাগ ড্যামমিং করা হয়েছিল।
এবিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মশিউর রহমানের সাথে একাধিক বার যোগা যোগের চেষ্ঠা করলে ও তিনি ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে অনিচ্ছুক।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৪জুলাই-২০১৮ই)