ডেস্ক রিপোর্ট।। ভোলায় পৃথক ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় দুইজনের লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর একটি লাশের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ভোলার মনপুরা, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ এলাকায় এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর ফয়েজদ্দিন গ্রামে পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় আলম মাঝি (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহত আলম মাঝি ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে এবং হাজিরহাট ইউনিয়ন মৎস্য দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরিবার জানিয়েছে, তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অসাবধানতাবশত পানিতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, একই দিনে ভোলার লালমোহনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোহাগ (৩০) নামের এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাতে সোহাগ তার অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সকালে তাকে বিদ্যুতের তারে জড়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সোহাগ লালমোহন পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
অন্যদিকে, দুপুর ১টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান কবীর বলেন, “আলম মাঝি রাতের কোনো এক সময় অসাবধানতাবশত পুকুরে পড়ে মারা গেছেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোহাগের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক হাসান রাসেল অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান