টিপু সুলতান।। অভায়াস্রম গড়ে তুলি, দেশী মাছে দেশ ভরি” প্রতিপাদ্য মিয়ে ভোলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি জেলা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাবিল মসজিদের সামনে দিয়ে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অতিথিবৃন্দের সমন্বয়ে বেলুন উড়িয়ে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। পরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের লেফট্যানেন্ট কমান্ডার (অপারেশন) রিফাত আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ভোলা জেলা শাখার আমীর মাস্টার জাকির হোসাইন, জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ, ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ, জেলা ইসলামী আন্দোলন (উত্তর)’র সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেক, নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আবু তৈয়ব, জেলা মৎস্যজীবী সমিতির আহ্বায়ক শাহে আলম সিকদার, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন, চরসামাইয়া ইউনিয়নের মৎস্য চাষী মোঃ সোহাগ হোসেন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং ভোলা জেলার প্রায় দুই শতাধিক জেলে উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সভায় বক্তরা বলেন, মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকাকালিন সময়ে সকল জেলেদের মৎস্য আইন মেনে মাছ শিকারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি জাটকা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান, এতে করে ভবিষ্যতে মৎস্য সম্পদ আরো সমৃদ্ধশালী হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নয় ভোলা। জেলায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার নিবন্ধিত জেলে সহ প্রায় ২ লাখ যে জেলে রয়েছে তাদের প্রত্যেককে নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারের দেয়া চালসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় তা আরো বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়াও বক্তরা আরো বলেন, দেশের মধ্যে যে ইলিশ মাছ উৎপাদন হয় তার ৩ ভাগের ১ ভাগ উৎপাদিত হয় ভোলা জেলা থেকে। যার পরিমান ২ লাখ মেট্রিক টন, যার আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার কোটি টাকা। মৎস্য শিকারের ক্ষেত্রে যে সকল অবৈধ জাল ব্যবহার করা হয় সেসব পরিহার করে মৎস্য শিকার করার জন্য সকল জেলেদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে অবদান রাখার জন্য ৩টি ক্যাটাগরিতে সফল ৩ মৎস্য চাষীকে স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সফল মৎস্য চাষীরা হলেন- রেনু পোনা উৎপাদনে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সফল মৎস্য চাষী মোঃ আমির হোসেন খান, খাঁচায় মাছ চাষের অবদানের জন্য একই উপজেলার মৎস্য চাষী মোহাম্মদ সোহাগ হোসেন এবং মৎস্য চাষে চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য চাষী জাহাঙ্গীর আলম।