হিন্দু জঙ্গি সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবী,মোহাম্মদপুরে সড়ক অবরোধ

বিশেষ প্রতিনিধি#
আজ ঢাকা মোহাম্মদপুর এলকার শহর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখে মিছিল সমাবেশ করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হিন্দু জঙ্গি সংগঠন ইসকনে সকল কার্যক্রম বাংলাদেশের বন্ধ ঘোষনা করা এখন সময়ের দাবী। ভোলার শহিদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না,অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওয়াতায় আনতে হবে।

এ ছাড়া বলেন গত কয়েক মাস আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে জঙ্গির হিন্দু সংগঠন ইসকন-এর উদ্যোগে হিন্দু পূজার রথযাত্রা উপলক্ষে কৃষ্ণ প্রসাদ খাওয়ানো এবং কোমলমতি মুসলিম ছাত্রদের দ্বারা হরে রাম ও হরে কৃষ্ণ স্লোগান দেওয়ানোর প্রতিবাদে গত ১৯ জুলাই জুমাবার বাদে জুমা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী ছাত্র খেলাফত চট্টগ্রাম মহানগর-এর যৌথ উদ্যোগে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

ওই সময় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামি ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, এদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এই দেশের ইতিহাসে কোন দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান সহবস্থান এ দেশের ঐতিহ্য কিন্তু হঠাৎ করে বহিঃর্বিশ্বের কোন এক শক্তিধর রাষ্ট্রের পৃষ্টপোষকতায় ইসকন নামের হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠনের উৎপত্তি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ম নীতি ব্যতিরেকে তারা নতুন হিন্দুত্ববাদ সৃষ্টি করে এ দেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগাতে চাই। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি এবং জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

মাওলানা রুহী বলেন, ইসকন কার্যক্রম আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে উপলব্ধি করেছি, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় গোঁড়ামি চড়িয়ে হিন্দুদেরকে মুসলমানদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই। তারা আগামীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ দেশের অভ্যন্তরে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর এবং সাম্প্রদায়িক বানাতে চাই। আমরা তা হতে দিব না ইনশাআল্লাহ।

জনাব রুহী আরো বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে জঙ্গি সংগঠন ইসকনের কুচক্রীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে কারন বাংলাদেশের হাইকোর্টও এ প্রসঙ্গে অন্যায় আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে। তা না হলে আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম অচল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ওসমান কাসেমী বলেন, মুসলমানের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের দিয়ে হরে কৃষ্ণ হরে রাম বলাইয়া ইসকন আসলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তাই এদের অনবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের সম্মুখীন হলে দায় সরকারকে নিতে হবে।
ইসকন বিদেশী প্রভুদের খুশি করার জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করতে চাই।

মাওলানা জুনায়েদ জওহর বলেন, ইসকন যদি আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে কৃষ্ণপ্রসাদ খাওয়াইতে পারেন তাহলে আগামী কোরবানি তে আমরা হিন্দুদের মন্দিরে গিয়ে গরুর মাংস দিতে পারব না কেন? তিনি অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভারতে মুসলিম নির্যাতন এর ব্যাপারে আগামীতে ভারত অভিমুখে লংমার্চ করারও হুমকি দেওয়া হয়।

ইসলামি ছাত্র খেলাফত চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ওসমান কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি আবুল কাসেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাজী মুজাম্মেল হক, সহ-সভাপতি মাওলানা আমিন শরীফ, মাওলানা মুহাম্মদ আলি, মাওলানা আলমগির, মাওলানা মনসুরুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্লাহ, মাওলানা ইউনছু, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শিবলী নোমানী, ইসলামী ছাত্র খেলাফত কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ইকবাল খলিল, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাকীম, ইসলামী ছাত্র খেলাফত চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সেক্রেটারি এরশাদ সিকদার, নগর ছাত্র খেলাফতের সহ-সভাপতি আতীক মুহাম্মদ, কামরুল হাসান, মিজানুর রহমান, জমির উদ্দীন, আব্দুল ওয়াজেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুনিরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, হাফেজ ইয়াছিন, সাইফুল ইসলাম, অলি উল্লাহ বাবুনগরী, ইমদাদুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দীন, তানভীর মাহমুদ, রিদওয়ানুল হক, হাবিবুল্লাহ, ফরহাদ হোসেন, মসরুর হোসেন, সাদেক হোসেন, ফোরকানুল্লাহ, সাখাওয়াত হোসেন, ইব্রাহীম প্রমুখ।

উল্লেখ, এ সময় পরিস্থিতি শান্ত পরিবেশ ছিলো।

SHARE