মিলি সিকদার, ভোলা।
ভোলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় গৃহ বধূকে হত্যা করা হয়েছেে। এই হত্যা মামলার সকল আসামিরা ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছেন। পুলিশ বাদির কথা মত মামলাও নেননি।
মামলার বাদী রবিউল আলম(৪০)এজহারে অভিযোগ করে জানান, আবু তাহেরর ছেলে কামরুল( ৩০) ২ বছর আগে মুরগির ফার্ম করার কথা বলে আমার স্ত্রী জেবুন্নেছার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ধার নেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর কামরুলের নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে মাহমদুল্লাহ সহ কামরুল আমার স্ত্রী জেবুন্নেছাকে বিভিন্ন ভাবে খুন করার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন।
২০১৮ সাালের ১৫ ডিসেম্বর আমার ছেলে মিয়াদ (১২) রানীগঞ্জ সানাউল্যাহ হাজীর বাড়ির দরজায় মাদ্রাসা হোস্টেলে ছিল ছোট মেয়ে নিতু (৮) খালা বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং আমার অবর্তমানে আমার স্ত্রী জেবুন্নেছা ঘরে একা ছিল ঐ দিন রাত ৯ টার সময় তাকে হাত পা বেধে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আসামীরা। বোরহানউদ্দিন উপজেলার দক্ষিন বাটামারা ৮নং ওয়ার্ডের সরজমিনে গিয়ে জানা যায় াসসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাকে হত্যা করে হত্যার আগে তাকে ধর্ষন করা হয় বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
এলাকাবাসী বলেন, আমরা জানি যে জেবুন্নেছা কামরুলের কাছে ২ লক্ষ টাকা পাওনা তার কাছে টাকা চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো জেবুন্নেছা কে বিভিন্ন ভাবে অপমান ও হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে জেবুন্নেছা বিষয়টি এলাকার গন্যমান্যদের জানান, কামরুল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বলে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে নি। আমাদের জানামতে জেবুন্নেছা স্বামীর অবর্তমানে এলাকায় তার কোন শত্রু ছিলোনা কামরুল ও মাহমুদুল্লাহ ছাড়া। গত ১৬-১২-০১৮ ইং তারিখে জেবুন্নেছা হত্যার বিচার চেয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি অসিম কুমার সিকদার আসামীদের নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা এজহার করে। রবিউল আলম আরো জানান, থানায় বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম তারা আমার স্ত্রী হত্যার কার্যকরী দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ ও তাদের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ভোলার আদালতে মামলা করি যাহার নং ০১/২০১৯ইং (বোরহানউদ্দিন)। আদালতে মামলার পর মাস ফেরুলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ ভূক্তভোগী রবিউলের পরিবার জেবুন্নেছা হত্যার মামলার বিচার চায় ও আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য ভোলার সর্বকালের সফল পুলিশ সুপার সদ্য পিপিএম পদক পাওয়া মোঃ মোক্তার হোসেনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন নিহতের পরিবার।
প্রিয় পাঠক পুলিশ কেন নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেননি এবং কোর্টে মামলা হওয়ার পরেও কেন কোন আসামি গ্রেফতার করেননি। এবং তাকে মৃত্যুর পূর্বে সত্যি কি ধর্ষন করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে কাজ করছেন আমাদের ভোলা নিউজের সাংবাদিক মিলি সিকদারসহ একাধিক ক্রাইম রিপোর্টার। ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য আমরা এ হত্যার বিত্তারিত তুলে ধরবো ,সাথে থাকুন ভোলা নিউজের সাথে…