শহর প্রতিনিধি।।
ভোলার বাংলা স্কুল মোড়ে মোটরসাইকেল কাগজ পরীক্ষার সময় সামান্য বিষয় নিয়ে এক কথার জেরধরে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে পেটাল এক পুলিশ কর্মকর্তা। পিটিয়েই
ক্ষান্ত হননি ওই নেতার বুকের উপর দাড়িয় নিত্য করছিলেন বুট জুতা পরা ওই পুলিশ কর্ম কর্তা।
বুট জুতা পরা নিত্যের এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
আহত আওলাদ হোসেন (৩২) বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক। রোববার বিকালে ভোলার বাংলাস্কুল মোড়ে সদরে সার্জেন্ট এর চেকপয়েন্ট এ ঘটনা ঘটে। এর জেরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপাররের দফতরে এএস আইর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারা অভিযুক্ত এএসআই শাহে আলমের শাস্তি দাবি করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের এএসআই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনেন। পড়ে তাকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলেন। এরপর তার বুকের ওপর লাথি দিতে থাকেন। দুই মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় এবং তোলপাড় সৃষ্টি করে চলতে থাকে আলোচনার ঝড়।
এদিকে আহত আওলাদ ও তার ভাই আব্বাস উদ্দিন জানান, আওলাদ ও তার এক বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা দুটি আলাদা মোটরসাইকেল যোগে বোরহানউদ্দিন থেকে ভোলা জেলা শহরে আসেন।
ওই সময় আওলাদ অনুরোধ করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এএসআই শাহে আলম। এক কথা দু কথায় এএসআই শাহে আলম আওলাদের ওপর চড়াও হন। গলার মাফলার ধরে টেনে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে থাকেন। স্থানীয়রা এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হন।
এ সময় বেশ কয়েকজন পথচারী ওই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিওতে ধারণ করেন। যা ইতিমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পরে অবশ্য এএসআই শাহে আলম এমন ঘটনার জন্য একপর্যায় দুঃখ প্রকাশ করেন অনুতপ্ত হন।
এদিকে উক্ত বিষয়ে ভোলা থানার ওসি মো. ছগির মিয়া বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এহছানুল হক কিশোর,ও বোরহানউদ্দিনের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেনসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে।
পরে রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় এক সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন ভোলা মডেল থানার ওসি ছগির মিয়া।
এদিকে এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল দেখে সাধারন মানুষের মধ্যে এই ঘটনায় এএস আই শাহেয়ালম এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিব্র নিন্দা জ্ঞ্যপন করেন এবং আইনের সেবক হয়ে বেআইনি কাজের জন্য এই পুলিশের শাস্তিও দাবি করেন কেউ কেউ।