ভোলা জেলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অন্যের জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এই অভিযোগ করেছেন একই এলাকার মোঃ জেবল হক ওরফে জিয়াউল হক নামে আরেক ব্যক্তি
১৭ নভেম্বর রবিবার সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জেবল হক বলেন, বাটামারা মৌজার এস এ ২৪১ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক দিলৈন্নেছা ওয়াকফো স্টেটের মোতয়াল্লি আজিজে রহমান গং এর নামীয় খতিয়ানের জমি দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলাম,দিলেন্নেছা চৌধুরী আমার কাজকর্মে খুশি হয়ে ২৪১ নং খতিয়ানের ১৩৭৭ নং দাগের জমি হইতে আমাকে বসবাস করার জন্য ১২ শতাংশ জমি দান করেন,জমির বিএস জরিপের সময় আমার নামে ৩০০৮ নং দাগে হাল বিএস ৭৩৯ নং খতিয়ান রেকর্ড করে দেন।
আমি ১২ শতাংশ জমির মধ্যে ৮ শতাংশ পূর্ব পাশের বাগানে এবং ৪ শতাংশ জমিতে গাছ-গাছড়া লাগিয়ে বেড়া দিয়ে দখলে ছিলাম কিন্ত কবির হোসেন রাতের আধারে আমার গাছপালা কেটে ঘর উত্তোলন করে।
তিনি আরো বলেন, এসএস ৪৭৭ নম্বর খতিয়ানে ১৩৭৭ নং দাগ কবিরের পিতা শামসুল হকের নামে দুই শতাংশ জমি রেকর্ড ছিল এবং সেটি নিয়ে ১৯৬৮ সালে আমরা একটি মামলা দায়ের করি এবং ১৯৮১ সালে মামলার রায় হয় সে রায় অনুসারে আমাদেরকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয় পরে কবির হোসেন আপিল করলে সেই আপিল ও আমরা জমি পাই, পরে আমরা তার বিরুদ্ধে উৎখাতের মামলা করলে আদালতের রায় অনুসারে তাকে ওই জমি থেকে উৎখাত করা হয়, উৎখাতের পর দীর্ঘদিন আমরা শান্তিতে ওই জমিতে বসবাস করি কিন্তু ২০২২ সালে তিনি আবার আমাদের ২৪১ নং দাগের খতিয়ান নম্বর ১৩৭৭ এর জমি তে গাছপালা কেটে দখলের চেষ্টা করে এরপর আমরা অতিরিক্ত ভোলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২২ সালে মামলা দায়ের করলে,আদালত থেকে উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মোঃ আনোয়ার হোসেন কে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করতে বললে তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ সরজমিন পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করলে সকল তদন্ত শেষে ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর হোসাইন ৮ জুলাই ২০২৪ সালে ১৪৪/১৪৫ ধারা মোতাবেক রায়ে উল্লেখ করেন বিরোধীয় ভূমি (জেবল হকের) ১ম পক্ষের দখলে,২য় পক্ষ জোর করে ঘর তোলার জন্য বাশ খুটি নিয়ে এসেছে,তাদেরকে বারিত করা প্রয়োজন, ডকে উপস্থিত দ্বিতীয় পক্ষ বলেন,যে এখানে আমাদের ঘর ছিল ১৫ বছর বন্যার সময় তারা ঘর নিয়ে গেছে এটা তাদের জমি এখন ঘর করতে দেয় না তবে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায় জেবল হকের অর্থাৎ বাদীর দখলীয় জমিতে বিবাদীপক্ষের ঘর তোলার উদ্দেশ্যে সরঞ্জাম এসেছে কিন্তু ঘর তুলতে পারে নাই।
সার্বিক পর্যালোচনায় বিরোধীয় ভূমিতে প্রথম পক্ষের দখলে থাকায় দ্বিতীয় পক্ষকে প্রবেশে বারিত করা হলো।
জেবল হকের ছেলে মোঃ বিল্লাল বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কবির গং ঘর তুলছে,আমরা বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগের বিষয় কবির হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই দুই শতাংশ জমি আমার,আমার জমিতে আমি ঘর করতেছি, তারা এতদিন দখলে ছিল এখন আমার জমি আমি নিজের দখলে নেব,ঘর উত্তোলন করে থাকব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,পক্ষিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জমি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি,ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান