পিঠে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পেশাদার মানুষ বিশেষ করে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন তার এই সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। বিশেষত অনলাইন বা ডেস্কজব করে এমন পেশাদারদের প্রধানত তাদের কাজের ধরন, ফিটনেস-সম্পর্কিত সমস্যা এবং জীবনযাত্রার কারণে পিঠে ব্যথা সবচেয়ে বেশি। এসব ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে করণীয়-
ঠান্ডা-গরম সেক : হঠাৎ ব্যাথা পেলে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে আইস প্যাক। দিনে দুই-তিনবার ১৫-২০ মিনিট করে ঠান্ডা সেক দিলে ব্যথা কমে যাবে। ধীরে ধীরে ব্যথা কমে এলে দিতে হবে গরম সেক। এতে বেশ ফলপ্রসূ হবে।
স্ট্রেচিং : স্ট্রেচিং ব্যায়াম
করলে পেশিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। যোগব্যায়ামে খুব ভালো স্ট্রেচিং হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা ছাড়ার আগেই হাত দুটোকে টানটান করে মাথার ওপর তুলে দিন। পায়ের পাতা ঠেলে যত দূরে পারেন নিয়ে যান। যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখুন। সোজা দাঁড়িয়ে হাত তুলে দিন মাথার ওপর, তারপর ধীরে ধীরে নামিয়ে এনে পায়ের পাতা ছুঁয়ে দিন। পা যেন না ভাঙে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সর্বাঙ্গাসন, উষ্ট্রাসনও করতে পারেন।
স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ :
যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন তাদের পিঠ ও কোমরের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়, তাই কিছু পিঠ ও কোমরের মাংসপেশির স্ট্রেন্থেনিং বা শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী করলে মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যথা কমে যাবে।
সোজা হয়ে বসুন : চেয়ারে একেবারে পিঠ টানটান করে সোজা হয়ে বসতে হবে। সামনের দিকে ঝুঁকে বা কুঁজো হয়ে বসলে পিঠের ওপর বেশি চাপ পড়ে, তাতে ব্যথা হয়। যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তারা চেয়ারে একটি ব্যাক সাপোর্ট ব্যবহার
করতে পারেন, যা আপনাকে সোজা হয়ে বসতে সাহায্য করবে এবং ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
বালিশের সঠিক ব্যবহার : বালিশের কারণে ঘাড়ে-পিঠে ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। আমরা সাধারণত মাথার নিচে দিয়ে থাকি যার ফলে আমাদের ঘাড়ের স্বাভাবিক বক্রতা কমে যায়, ফলে ব্যথা হয়, বালিশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম হলো একটি মধ্যম সাইজের বালিশ অর্ধেকটুকু মাথার নিচে বাকি অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেওয়া, তাহলে ঘাড়ের স্বাভাবিক বক্রতা ঠিক থাকে এবং ঘাড়-পিঠে ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়।
পাশাপাশি এই ধরনের পিঠের ব্যথা সমস্যার সমাধানে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন ।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান