ষ্টাফ রিপোর্টার।।ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরে ১লা মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত একটি গণধর্ষন, একটি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও একটি যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটেছে।গণধর্ষনের ঘটনায় রাজাপুরের বর্তমান এক মেম্বারের ভাতিজাসহ তিনজনের বিরুদ্বে মামলা হয়েছে।গণধর্ষনের অভিযোগে স্থানীয় মেম্বারের ভাতিজা প্রধান আসামী হওয়াতে আতংকে রয়েছে মামলার বাদীর পরিবার । আসামীরা গা ডাকা দিয়ে থেকে হুমকি প্রদান করছে বাদীনির স্বামী সবুজের পরিবারকে। একের পর এক রাজাপুরে ধর্ষনের প্রকোপ বেড়েই চলছে এ যেন গণধর্ষন, ধর্ষন, কিংবা ধর্ষন চেষ্টার এক অভয়ারণ্য রাজাপুর । ১৯মে দিবাগত রাতে রাজাপুরের ৭ ওয়ার্ডের দিলু সর্দারের ছেলে রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ তুলেন প্রতিবেশী এক কিশোরী জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে ধর্ষিত কিশোরী বিচার বঞ্চিত হয়। অভিযোগ রয়েছে অধ্য ২৭ মে রাজাপুরের ৪নং ওয়ার্ডের হযরত আলী ডালির পুত্র মোক্তার হোসেন একই ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন ফরাজির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নির্জনে একা পেয়ে শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।আলাউদ্দিন ফরাজির স্ত্রী জানান আমার কন্যা পোশাক আনতে গিয়ে আমাদের পাশের বাড়ি থেকে আশার পথে হযরত ঢালীর ছেলে মুক্তার তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করেন। আমার ১২ বছর বয়সী কন্যা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে মোক্তার পালিয়ে যায়। মোক্তার ও তার সহযোগী রুবেল সহ ৪জন লোক আমাদের এখানে সয়াবিন বীজ নিতে আসে। মোক্তারের অটোরিকশায় করে তারা সয়াবিন বীজ বহন করে । ঘটনার পরে মোক্তার পালিয়ে গেলে আমরা সয়াবিন সহ মোক্তারের গাড়ি আটক করি বলে জানান কিশোরীর মা ও ভাই মোশারেফ । পরে স্থানীয় মেম্বার ও কলিমুল্লা দফাদার এসে আমাদের ঘটনার বিচার করে দিবে এমন আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান মোশারেফ । এঘটনা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ছিদ্দিক সহ পুলিশের একটি টিম। পুলিশের টিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতেই এক জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে ঘটনার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান স্থানীয়রা । স্থানীয়দের দাবী ধর্ষন কিংবা ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপও অভিযুক্তদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠাই ধর্ষনের ঘটনা বাড়িয়ে দেয়ার সামিল।
ধর্ষণ কিংবা যৌন হয়রানীর মত ঘটনার বিচার বা ফয়সালা করার অধিকার কি জনপ্রতিনিধিরা রাখে? জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালি ও স্বজনপ্রীতির কারনেই বেড়েই চলছে যৌন নির্যাতনের মত ঘটনা।এই বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার হারুন চকিদার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, বিস্তারিত জেনে এসেছি সাক্ষাতে আপনাদের বলবো।ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, যৌন নির্যাতনের ঘটনা যেহেতু স্থানীয় ভাবে সমাধান করার সুযোগ নাই তাই ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবার কে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।মামলা হলে আসামীকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।