শীতে বা গরমের অনুভূতি সবার সমান নয়, কেন এমন হয়!

হেলথ কর্নার  |
অনলাইন ডেস্ক

গরম কিংবা ঠান্ডার অনুভূতি সবার ক্ষেত্রেই যে একই রকম হবে তা কিন্তু বলা যায় না। কারও খুব গরম লাগে আবার কারও আবার বেশ ঠান্ডা। এমনও অনেকে আছেন- যারা ভরদুপুরে গায়ে চাদর শরীরে দিয়ে ঘুমান। তেমনই আবার অনেকেই আছেন, যারা শীতের দিনে ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এমনকি অফিসেও এই রকম অনেক মানুষ থাকেন, যারা সব সময় এসি কমানো-বাড়ানো নিয়ে তর্ক করেন।

প্রত্যেক মানুষের শরীরের থার্মোস্ট্যাট সেটিংস কিন্তু এক এক রকম। শরীরের গড় তাপমাত্রা হলো ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এবার শরীরের কার্যকলাপ এবং দিনের কোন সময় কোন কাজ করা হচ্ছে তার উপরও কিন্তু নির্ভর করে শরীরের তাপমাত্রা। মানুষের রক্ত উষ্ণ হওয়ায় মানুষ নিজেই কিন্তু তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কিছু মানুষ আছেন যারা অন্যদের তুলনায় ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি অনেক বেশি বুঝতে পারেন। কিন্তু কেন এমন হয়?

তবে অল্প বয়সীরা যত ভাল এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, বয়স্করা কিন্তু তা পারেন না। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেটাবলিজম কমতে থাকে। ফলে হজম করতে সময় লাগে। আর মেটাবলিজম কমে গেলেই কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যে কারণে বয়স্কদের মধ্যে হাইপোথার্মিয়ার প্রবণতা থাকে বেশি। যে কারণে বয়স্কদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। এবং খুব তাড়াতাড়ি তারা যে কোনও সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরের মধ্যে পেশির ভর কম থাকে। ত্বকে ছিদ্রও কম থাকে। যে কারণে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে শীত ভাব বেশি থাকে। তবে সেই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রয়েছে ঘরের তাপমাত্রারও। আবার মেনোপজের সময়ে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেয়েদের অতিরিক্ত গরম লাগে। এছাড়াও মেনোপজের পরবর্তী সময়ে হটফ্লাশের সমস্যা হয় অনেক নারীর মধ্যেই। হঠাৎ হঠাৎ গরম লাগা, কানের চারপাশে লাল হয়ে ওঠা এসবই মূলত হয়।

রাতের দিকে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। মূলত এই সব সমস্যার জন্যই কিন্তু সবার শরীরের তাপমাত্রা সমান নয়। সিডনি ইউনিভার্সিটির ফিজিওলজির গবেষক ওলি জে যেমন বলেন, যাদের ওজন বেশি, যাদের শরীররে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি তাদের শরীরে তাপমাত্রাও যেমন বেশি হয় তেমনই কিন্তু শরীর ঠান্ডা হতেও কিন্তু বেশি সময় লাগে। তবে কিছু পরিবর্তিত পরিস্থিতিও থাকে, যেখানে যাদের চর্বি বেশি তাদের মধ্যে ঠান্ডার অনুভূতিও বেশি। যে কারণে দেখা গেছে- যারা দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মধ্যে কিন্তু এই তারতম্য দেখা যায়।

SHARE