মোঃ জাবেদঃ-
ভোলার ভেদুরিয়ায় কৃষককে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক মুনসুর (৩০)কে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে আবদুল্লাহ বাহিনী। কৃষক মুনসুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের অপরপাশে নতুন চরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কৃষক মুনসুর জানান, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির আবু সায়েদের ছেলে মুনসুর (৩০) ও একই ইউনিয়নের মন্নান গাজীর ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ ও সালাহউদ্দিন লঞ্চঘাটের অপরপাশের নতুন চরে একই মৌজার জমি সমানভাবে চাষাবাদ করে ভোগদখল করে আসছে। তাদের ভোগদখলীয় জমির কিছু অংশ নদীতে ভেঙে যায়। এরপর ওই জমি ভোগদখল নিয়ে মুনসুর ও আবদুল্লাহ গংদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মুনসুর ওই মৌজায় তার ভোগদখলীয় অংশে চাষ করার জন্য টিলার দিয়ে জমি নিরানোর কাজ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল্লাহ ও সালাহউদ্দিন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কৃষক মুনসুরকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় মুনসুরের আত্নচিৎকার শুনে লোকজন এসে ঝড়ো হলে হামলাকারী আবদুল্লাহ গংরা চলে যায়। লোকজন মুনসুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ব্যাপারে হামলাকারী আবদুল্লাহ ও সালাহউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
আহত কৃষক মুনসুর বলেন, ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটের অপরপাশের নতুন চরে একই মৌজার জমি আমরা ও আবদুল্লাহ গংরা সমানভাবে ভাগ করে চাষাবাদ করে আসছি। আমাদের ভোগদখলীয় মৌজার কিছু জমি নদীতে ভেঙে নিয়ে যায়। আবদুল্লাহ গংরা বলে নদীতে শুধু আমার জমি ভেঙে নিয়ে গেছে। নদীতে ভেঙে কমলে আমাদের দু’জনে মধ্যে থেকে কমবে। কিন্তু তারা আমার মধ্যে চাপিয়ে দিচ্ছে। আজ আমার অংশে চাষাবাদ করতে গেলে আবদুল্লাহ ও সালাহউদ্দিন আমাকে মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ গংদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় কামাল মেম্বার বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার চেষ্টা করবো। এখন আহত মনসুরকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছি।