মাসুদ রানা। ভোলার লালমোহনে স্বামীর ওপর স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্বামী সহ তার পরিবারের দুইজন আহত হয়েছে। আহতদের লালমোহন হাসপাতালে আনা হয়েছে। উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে নাজিরপুর এলাকায়।২৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, একই এলাকার মোফাজ্জল খানের পুত্র শফিক খানের সাথে বেপারি বাড়ির আবুল হোসেনের কন্যা রীনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী ও পুত্রকে বাড়িতে রেখে শফিক খান জীবন-জীবিকার টানে ওমেন চলে যান। সেখান থেকে তিনি টাকা পাঠান, তাতে সংসার চলে। স্ত্রী রীনা আক্তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে অবাধে চলাফেরা করতে শুরু করেন। তার বেপরোয়া আচরণে স্বামী পক্ষের কেউ বাধা দিলে তিনি ওই পরিবারের বাধা অগ্রাহ্য করে নিজের মন মতো খামখেয়ালীভাবে চলাফেরা করতে থাকেন।বিভিন্ন লোকজনের সাথে তার পরকিয়া সম্পর্ক তৈরি হয়। স্বামী বিদেশ থেকে বিভিন্নভাবে স্ত্রীকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি তা উপেক্ষা করে চলেন। স্ত্রীর পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোন কাজ হয়নি। এতে স্বামী-স্তীর মধ্যে অমিল দেখা দেয়। সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। বিদেশ থেকেও স্বামী তার স্ত্রীকে সংসারমুখী করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। নিরুপায় হয়ে স্বামী সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসেই তিনি স্ত্রী ও তার পরিবারের তোফের মুখে পড়েন। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী আদালতে মামলা দিয়ে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায়ে রীনা আক্তার, তার ভাই হৃদয়, তার মা রাসু বিবি, তার বাবা আবুল হোসেন, তার ফুফু চানু, ফুফাত বোন সুমনা সহ আরো লোকজন নিয়ে স্বামীর বাড়ি হামলা ও লুটপাট করে। এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে শফিক খান ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাজমা বেগম, বড় ভাইয়ের স্ত্রী আয়শা বেগম আহত ও রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত নাজমা ও আয়শাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শফিক খান চিকিৎসা নেন। নাজমা বেগমের মাথায় রক্তাক্ত কাটা জখম হয় এবং শফিক খানের হাতে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
হামলাকারীরা লুটপাট করে এবং মহিলাকে টানাহেঁচড়ার করে শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় তারা ন্যায় বিচার দাবী করেন।