টিপু সুলতান ঃ সদর উপজেলা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের তিন কন্যা সন্তান নিয়ে ফিরোজা বেগম স্বামী মৃত্যুবরণ করার পর গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে কোন রকম জীবনযাপন করেন ফিরোজা বেগম।মানুষের কাছে খোঁজে দুমুঠো ভাত খেলেও রাতে মাথা গোঁজানোর একটি ঘর ছিলো না ফিরোজার।
বৃষ্টি হলেই কষ্টের শেষ নেই ফিরোজার, বর্ষাকাল মানেই দূর্রদশা ফিরোজার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারেদ্বারে ঘুরলেও ভাগ্য খুলেনি বরং ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুদ রানার হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন ফিরোজা বেগম। ফিরোজার দূর্রদশা দেখে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন পশ্চিম ইলিশার তরুণ স্বেচ্ছাসেবী মোঃ ছালাউদ্দিন, নাজিমুদ্দিন, মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম নাঈম,আশিকুল ইসলাম শাহিন, হোসাইন, আরিফ, মাহাবুব আলম,রাহাত হোসেনসহ একঝাক তরুণরা। এলাকার গণ্যমান্য এবং প্রবাসী, চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সহযোগীতা অতঃপর ফরিদপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুদান নিয়ে যুবকরা উদ্যােগ নিয়ে অসহায় ফিরোজার একটি দৌচলা ট্রিনের ঘর মজবুত করে দিয়েছেন তরুণ এই যুবকরা। ফিরোজা বেগম বলেন, আজ আমি অনেক খুশি স্থাণীয় মেম্বারের কাছে গেলে তিনি আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে কপালে আঘাত করেছে কোন সহযোগীতা দেইনি কিন্তু এই ছেলেরা আমার ঘরটি করে দিসে, আল্লাহ্ কাছে নামাজ পড়ে তাদের জন্য দোয়া করি। তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের টিম লিডার ছালাউদ্দিন সালেহ্ বলেন,আমরা এর আগেও অনেক সহযোগীতা করেছি তবে ফিরোজার কষ্ট দেখে নিজের মন কে বুঝাতে পাড়েনি, তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে এসে ফিরোজার ঘরের ব্যবস্থা করেছি। অসহায়দের পাশে পশ্চিম ইলিশা সংগঠনের সমন্বয়কারী নাজিমুদ্দিন নাজিম বলেন,যারা আমাদের মাধ্যমে সহযোগীতা করেছে এই ফিরোজার ঘরের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।