———
স্টাফ রিপোর্টার ॥
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মধ্যে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় স্কুলের জমিদাতার ছেলেকে মারধর, পরবর্তীতে বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণলাংকার লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ভোলা সদর উপজেলা আলীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ছিফলী গ্রামের আবদুস সোবহান মহরী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত জিন্নাহকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। স্থানীয় বখাটে নাহিদের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জিন্নার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, সদরের আলীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাকলাই বাড়ি এলাকার বাসিন্দা শাহিনের ছেলে নাহিদ এলাকার কিছু উঠতি বয়সের তরুণদের নিয়ে মাদক সেবন, ছিনতাই, চুরি, স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের ইভটিজিং করে যাচ্ছিল। নাহিদ বখাটেদের নিয়ে এলাকার পশ্চিম ছিফলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে মাদক সেবনসহ আড্ডা দিয়ে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতো। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্কুলের জমিদাতা মৃত আব্দুস সোবাহান মহরীর ছেলে ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিনের ভাগ্নে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথার কাটাকাটি হয়। নাহিদ বাহিনীকে স্কুলের প্রাঙ্গণে আড্ডা দিতে নিষেধ করে জিন্নাহ। এছাড়াও একই এলাকার এক নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে নাহিদ বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিলে এলাকাবাসী তাকে সতর্ক করে। নাহিদ ও তার বাহিনী এ বিষয়টি নিয়ে জিন্নাহকে দোষারোপ করে। এসব ব্যাপারে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে নাহিদ। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে জিন্নাহ খেলা দেখে বাড়িতে যাওয়ার সময় নাহিদ ও বাবলু অতর্কিতভাবে জিন্নাহর উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা জিন্নাহকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৮/১০জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জিন্নাহর বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ঘরে থাকা মহিলাদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং জিন্নাহর খালাতো বোনের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় নাহিদ বাহিনী ঘরে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণাংলকা ও দামি মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ৩টার সময় ভোলা সদর থানার এসআই আলী আকবরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রাতের বেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জিন্নাহর বড় ভাই মোঃ রুহুল আমিন সেন্টু জানিয়েছেন। তিনি জিন্নাহর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী নাহিদ ও তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এলাকাবাসী জানায়, নাহিদ কয়েক বছর যাবত এলাকায় মাদক সেবন, চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, দলবদ্ধভাবে পথচারী ও এলাকাবাসীর সাথে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে আসছে। তার পরিবার বিষয়টিকে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাহিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।