পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ টানা বর্ষনের ফলে বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে পটুয়াখালী বাসীর জনজীবন।ঘরমুখো হয়ে রয়েছে দৈনিক নিম্ম আয়ের শ্রমিকসহ সকল লোকজন।পনিতে তলিয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি। পানি ঢুকে তলিয়ে মাঠের সাথে মিশে রয়েছে অধিকাংশ মাছের ঘের। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় হয়েছে হাঁটু পানি। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকায় দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তিনি ধরে অবিরাম টানা বর্ষনে এমই দূরাবস্থা। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় সকর্ত সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে অচল হয়ে গেছে জনজীবন। বন্ধ রয়েছে দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাজের সন্ধানে বের হওয়া এসব মানুষ কাজ না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফিরে গেছেন। সদর উপজেলার এলাকার সুজন জানান, তিনি রোজ মাছ ফেরি করে বিক্রি করেন। কিন্তু আজ প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের কারণে মাছ কিনতে পারেননি। খালি হাতেই আজ বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাকে।অটোরিকশাচালক দুলাল বলে, তিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তা কোন লোকজন নাই। তারপরে বাজারে যে অবস্থা। সবকিছু দাম আগুনের মতো। আয় নাই তাই বাজার ও নাই। জেলার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পুকুর ঘের তলিয়ে মাছ নদীতে চলে যাবার সম্ভবনা রয়েছে । জেলা কৃষি অফিসার জানান, চলমান বৃষ্টিপাত আমন ফসলের জন্য ক্ষতির কোন কারণ হবে না। তবে এটি যদি ৫/৬ দিন ধরে চলে তাহলে কিছু কিছু ধানের ফুল এসেছে সেগুলো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এছাড়া শাক সবজির ক্ষেত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরীর বলেন, দূর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ৯০০ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতসহ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।