টিপু সুলতান
ভোলায় আলো ছড়ানো মানুষ গুলো যে জোনে বসবাস করে সেখানেই যেন অন্ধরার। জেলা প্রশাসকের বাড়ি, একটু সামনেই আমাদের জেলা পরিষদ ভবন, চীফ জুডিসিয়াল কোর্ট এবং জাজ কোর্ট, উকিলদের ভবন সাথে পৌর ভবন, পাসেই অফিসার্স ক্লাব, সার্কেল এসপির ভবন, পুলিশ ক্লাব, জাজ কোর্ট দিয়ে একটু সামনে আগালেই ভোলার অভিবাবক জননেতার বাড়ি। এতোসব গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বসবাস করা জোনে কিভাবে বছরের পর বছর হাফ কিলোমিটারের কম দৈর্ঘের এই রাস্তাটি এমন বেহাল দশায় পরে থাকে এমন প্রশ্ন ভোলার অফিস আদালতে আসা মানুষ গুলোর। মহিলা কলেজ বাদ দিলেও ভোলারর কোমলমতি বাচ্চা মেয়েরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসতে এই রাস্তাটিই বেশি ব্যাবহার করেন।সদর সার্কেল এসপি ও আইনজীবী সমিতি অফিসের সামনের সড়কটি বড় বড় গর্ত হয়ে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পুলিশ সদস্য, আইনজীবী, স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অফিস আদালতে আসা পথচারীদের।
সড়কটি সংষ্কার না হয়ে বর্তমানে চলাচলের খুবই অনুপযোগী হয়ে উঠেছ। ছোট বড় দূর্ঘটনাতো ঘটেই চলছে। এই ভাঙ্গা সড়কেই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এডভোকেট কাজী আজমের মহড়ার মিহির চন্দ্র। এমন অমানুবিকতা থেকে মুক্তি পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী পথচারীরা।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভোলা সার্কেল এসপি অফিস ও আইনজীবী সমিতি থেকে কোর্টে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি ৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এছাড়াও এই সড়ক দিয়েই ইলিশা ও ভেদুরিয়া ফেরীর ছোট বড় অনেক মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুম এলে এই সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।ভোলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাবেক নারিশিশু পিপি এডভোকেট গোলাম মোরশেদ কিরন তালুকদার
বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির দ্রুত মেরামতের দাবী যানাচ্ছি।একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি ছোট খাট ডোবায় পরিত হয়ে পায়ে হাটা অফিসগামীদের চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই সড়ক বিভাগসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছন ভোলার সচেতন মহল।