তাইফুর সরোয়ারঃ-
দ্বীপজেলা ভোলার ২০ লক্ষাধিক মানুষের প্রানের দাবি সদর হাসপাতালের নতুন ভবন চালুর।
নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছয় মাসেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যার ভোলা সদর হাসপাতাল। বর্তমান করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সাত তলা ভবনের এ হাসপাতালটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন ভোলাবাসী। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, নতুন ভবনে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। জনবল ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পেলেই চালু করা সম্ভব।
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভোলা সদর হাসপাতালটি ২০০০ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। বর্তমানে অনেকগুলো চিকিৎসকের পদ খালি থাকায় রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বহু রোগীকে।
দ্বীপবাসীর চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বর্তমান এমপি তোফায়েল আহমেদের একান্ত প্রচেষ্টায় ১০০ শয্যার ভোলা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত সাত তলা ভবন। গত বছরের জুলাইয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নবনির্মিত ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করলেও প্রয়োজনীয় জনবল ও আসবাবপত্রের অভাবে আজও চালু করা সম্ভব হয়নি এটি।
সড়ক পথে বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপজেলা ভোলায় কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে বরিশাল কিংবা ঢাকা নিতে হয়। দ্রুত ঢাকা বা বরিশাল নিতে ব্যর্থ হলে কেউ কেউ পথেই মারা যায়। তাই ভোলা বাসীর প্রাণের দাবি – এই করনা পরিস্থিতিতে দ্বীপবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও সুচিকিৎসায় যত দ্রুত সম্ভব করোনা পরীক্ষার ল্যাব, আই সি ইউ সুবিধা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ নব নির্মিত ভবনটি চালু করা হোক।