- মোঃ ইমরান হুসাইন মুন্না:-
আতংকিত ‘করোনা ভাইরাস’ সংক্রামন এড়াতে ভোলায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বাইরের জেলার বাসিন্দাদের প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এছাড়াও হোটেলে রাত্রী যাপন, সকল ধরনের সভা-সমাবেশ ও জন সমাগম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পর্যটন এলাকায় যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে ৬ প্রবাসিকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জরিমানা আদায়কৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে সদরে ৩ মনপুরায় ১ ও চরফ্যাশনে ২ জন রয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, একই সাথে আইন অমান্য করার অপরাধে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ জনকে জরিমানা আদায় করেছে। এখণ পর্যন্ত করোনা নিয়ে জেলার সার্বিক অনেক ভালো রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নৌ পথ বা অন্য কোন মাধ্যমে যাতে অন্য জেলার মানুষ ভোলায় প্রবেশ করতে সে জন্য সর্তর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টির প্রতি নজরদারি রাখতে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১২৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যাক্তির সংখ্যা দাড়ালো ১৭৫ জনে। যাদের মধ্যে তজুমদ্দিনে ৭ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৭ জন, দৌলতখানে ১২, ভোলা সদরে ১০, চরফ্যাশনে ৩, মনপুরায় ২৪ ও লালমোহন উপজেলায় ১০১ জন রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যাক্তিদের মধ্যে ওমান, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, ইন্ডিয়া, মালেয়েশিয়া, আবুদাবি থেকে আগত এমন ব্যাক্তির সংখ্যাই বেশী বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধা সাড়ে ৭টার পর্যন্ত নতুন করে শুধু লালমোহন উপজেলায় নতুন ১০১ ও মনপুরায় ২৪ জনকে জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর আগে পাচ উপজেলায় যাদের সংখ্যা ছিলো মাত্র ৪৯ জনে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যাক্তিরা সবাই বিদেশ ফেরত। তাদের মধ্যে কয়েক জনের জ্বর ও সর্দি কাশি রয়েছে, বাকিরা মোটামুটি স্বাভাবিক। তবে আমরা সবাইকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ৩ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘করোনা ভাইরাস’ প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে ভোলার স্বাস্থ্যবিভাগ। ইতমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালসহ প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে করোনাা ওয়ার্ড (আইসোলেশন) রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৮ টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। পুুুরো জেলার সার্বিক পরিস্তিতি পর্যবেক্ষন করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
‘করোনা ভাইরাস’ সংক্রামন আতংকে অনেকটা আতংকিত সাধারন মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক কার্যকম। অনেকেই রয়েছেন ভয়ের মধ্যে। মাক্স পরিধান করে অনেকেই চলাফেলা করতে দেখা গেছে।
মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সকল শিক্ষাথীদের বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে, গনসমাবেশ পূর্ব খেলা, মেলা উৎসব স্থগিত করা হয়েছে। চায়ের দোকান, হোটেল রেস্তরা, পার্কে জমায়েত নিষিদ্ধ সহ হাত মেলানো ও কোলাকোলি থেকে বিরত খাকতে বলা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা কোন ব্যাক্তি আসার খবর পাওয়া মাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।