শিক্ষা প্রতিনিধি#
ভোলায় অনুমোদন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়াছাড়ির অভিযোগ উঠে এসেছে, নামে বে-নামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে অনুমোদনহীন পাঠদান ও স্বকৃতি বিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি চলছে শিক্ষা বাণিজ্য এবং প্রতারিত হচ্ছে সাধারন মানুষ।
অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকে পণ্য করে বছরে ইচ্ছামত হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকারি নিয়ম নীতিমালা ছাড়াই ইচ্ছামত গ্রহন করছে মাসিক ফি, পরীক্ষা ফি, আবাসিক ফি। সরকারি নীতিমালায় দুটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয় তিন থেকে চারটি পরীক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষানীতিমালার বাহিরে থেকে শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পড়ানো অভিযোগ রয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পাড়ানো আদলে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অদক্ষ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করতে দেখা যায় শহরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঘুড়ে। বেশিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদ্বারা পাঠদান করা হয় এবং পাঠদান অনুমতি রয়েছে ৫ম বা ৮ম শ্রেনীর অথচ সেখানে ভর্তি করানো হয় কলেজ লেভেল পর্যন্ত। আবার কোথাও অনুমতিই নেই সেখানে লিখে রেখেছে কলেজ ইচ্ছামত লিখা হয় ক্যাডেট স্কুল কলেজ, এতে সাধারন মানুষকে হতে হয় হয়রানির স্বীকার। শিক্ষার্থীদের থেকে নূন্যতম নার্সারী থেকে একাদশ শ্রেনী পর্যন্ত মাসিক টাকা গ্রহন হয় ৬৫০০- ৮৫০০ টাকা পর্যন্ত।।
বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন।
উল্লেখ্য, ভোলা শহরের প্রান কেন্দ্র ইলিশা সড়কের ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা হয়ে আসছে অথচ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নেই কোন অনুমোদন,নেই কোন স্বীকৃতি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হক ভোলা নিউজকে প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন নেই বলে নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছে এ বিষয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সেই অনুমোদন বিহীন ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালককে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।।
৩য় পর্বে, আসছে বিস্তারিত…. ভোলার রেসিডেন্সিল ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজ নিয়ে (সাথে থাকুন)