বিপ্লব রায়/ মনজুরুল ইসলাম/ টিপু সুলতান#
ভোলার মনপুরায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। গতকাল দুপুরে চরফ্যাশন থেকে স্পিডবোটে শ্বশুরবাড়ি মনপুরা দক্ষিণ সাকুটিয়া যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় বোটে দুই যাত্রী ছিলো। জনতার খাল এলাকা থেকে আরও দুই যাত্রী স্পিড বোটে ওঠে। এক পর্যায়ে ওই যাত্রীরা চালককে, বোটটি নির্জন চর পিয়াল এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। সেখানে সন্তানের সামনেই ধর্ষণের শিকার হয় ওই নারী।
এরপর ঘটনাটি মনপুরার দক্ষিণ সাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুলকে জানানো হয়। তিনি চার ধর্ষককে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার পরে আবারও ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ অভিযোগ ওঠে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল, মনপুরা থানায় মামলা দায়েল করেন ভুক্তভোগী নারী। এতে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। তবে, এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মনপুরা থানার নতুন ওসি শাওকাত । ওসি আরো বলেন, আমি প্রশাসনকে নতুন রুপে সাজিয়েছি, ধর্ষক রনি সহ কেউ পাড় পাবে না।
অন্যদিকে এর আগেও ঘঠে যাওয়া বহিস্কৃত ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি ধর্ষক রাকিব হাসান রনিকে গ্রেফতার করতে পারেনি, মনপুরা উপজেলার সাবেক ব্যার্থ ওসি ফোরকান আলী। অবশেষে ব্যার্থতার দায় মাথায় নিয়ে বদলী হয় অন্য জেলায় ওসি ফোরকা।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জন আতংক ও চরম ক্ষোভে তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। এলাবাসী মনে করেন ধর্ষক রনি গ্রেফতার হলে এমন ঘঠনার সাহস আর করতো না,এই নরপশুরা।