ক্রাইম রিপোর্টারঃ-
১৫ লক্ষ টাকার জন্য জবাই করে হত্যা করা হলো ডাচ বাংলা এজেন্ট হুজুর আলাউদ্দিনকে। অপরাধী দিবাকর চন্দ্র শর্মা হুজুর আলাউদ্দিনের বিশ্বস্ত ব্যাক্তি হওয়া তাকে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার হিসাবে নিয়োগ দেন,কিন্ত ঘাতক দিবাকর দিনের হিসাব দিনে বাংলাবাজার প্রধান শাখায় দেওয়ার কথা থাকলেও, ছয় দিনের হিসাবের টাকা প্রেরন করেনি প্রধান শাখায়। পাশাপাশি চক্রের সাথে তার নিবর সম্পর্ক গড়ে উঠার কথা উঠে আসছে।
অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া আসামি আবুল কালামের সাথে ছিলো আলাউদ্দিনের সার ও ঔষদের ব্যাবসার পাওনা দেনার নিবির সম্পর্ক । আসামি দিবাকরের দেনা টাকা না দেওয়ার প্রলোভনে পড়ে আসামি আবুল কালাম গঠনার পরিচালনা করেন ।
এ দিকে ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার লোভে মনপুরা উঠুয়া বাহিনীর মূল হোতা জয়নাল নিজের ভাড়া করা ৩ খুনিকে তজুমদ্দিন থেকে নিয়ে আসে নিজ বাড়ীতে জামাই আদরে থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করেন। ঘঠনার দিন রাতে ভাড়াটিয়া খুনিসহ মোট ৫ জন ধারালো ছুড়ি দিয়ে জবাই করে, ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। ওসি জানান পরক্ষ ভাবে পুরো বিষয়টি পর্দার অন্তরালে পরিচালনা করেন থেকে বিশ্বাস ঘাতক দিবাকর চন্দ্র শর্মা।
উল্লেখ,ভোলার মনপুরা উপজেলায় ব্যাংকে এজেন্টকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ভাড়াটিয়া খুনিসহ ৫ জনকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছেন পুলিশ।
স্থানিয়রা জানান, ভোলার মনপুরা থানার ফকির হাট বাজার এলাকায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোঃ আলাউদ্দিন হুজুরকে বাড়ি ফেরার পথে গলায় চুরির চালিয়ে হত্যা করে দুবৃত্তরা। ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১২টাই এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাকে মনপুরা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন ।
পুলিশের রাতভর অভিযানে এজহার নামিয় আসামি ডাচ বাংলা ব্যাংক এর কেরানী দিবাকর শরমাকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ৩ ভারাটিয়া খুনিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় লঞ্চ থেকে গ্রেফতার করে মনপুরা থানা পুলিশ। মনপুরা থানার ওসি ফোরকান আলী মানবজমিনকে জানান, ব্যাংকের কেরানী দিবাকর শরণ আলাউদ্দিনকে খুন করার জন্য তজুমুদ্দিনের চাদপুর থেকে সেলিম চৌকিদারের ছেলে শামিম, আবুল কালামের ছেলে শাহিন ও একই এলাকার মোঃ ইউনুসের ছেলে মাকসুদকে ভাড়া করে এনে আলাউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করে। আজ পলিয়ে যাওয়া সময় তাদেরকে তজুমুদ্দিনের দোতলা লঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে ছুড়ি দিয়ে জবাই করা হয়েছে তা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা।