“মদ খা, মানুষ হবি” সেই সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্কঃ
কেউ বলে গালি বেউ বলে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, আবার কেউবা বলে শব্দ বোমা এমন অনেক সংলাপের জন্য অনলাইন দুনিয়ায় পরিচিত সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মদ খা, মানুষ হবি,’ ‘ওকে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও’ এরকম নানা সংলাপের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। তিনি কথা বলেন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সরকার, রাজনীতি, সমাজ, ধর্ম নিয়েও। কয়েক মাস আগে ফেসবুক লাইভে এসে ইসলাম ধর্ম ও পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করেন তিনি। পবিত্র কোরআনকে অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত ২৩শে এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আজ ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গত ১০ই সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আসামি সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯শে নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছে, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।
এদিকে নৈতিক ভাবে বিকার গ্রস্ত সেফুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানায় অনেকে খুশি হয়েছেন। আবার অনেকে এই পাগলকে তার পাগলামি বাড়িয়ে দেয়ার জন্য এই মামলা অনুপ্রনিত করতে পারে বলে আশংকা করছেন। তবে তাকে দেশে এনে বিচারের মুখমুখি করার দাবী জানিয়েছেন ধর্মপ্রান সাধারন মানুষ।

SHARE