মনজু ইসলামঃ
ভোলার ভুয়া অধ্যক্ষ নিজামের শেষ রক্ষা হলোনা। অবশেষে চুড়ান্ত বহিস্কার হলেন বহুল আলোচিত ভুয়া অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন। জাতীয় ইউনিভার্সিটির ০১-০৯-১৯ তারিখের চুড়ান্ত অনুমোদনে এ বহিস্কারাদেশ কার্যকর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সূত্রে জানাযায়, বহুল আলোচিত ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন প্রত্যাশিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই অবৈধ ভাবে নিয়োগ ও সীমাহীন দুর্নীতিসসহ ১০ টি অভিযোগ পাঠানো হয় জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ভোলা ক্লিন ইমেজের সমাজ সেবক কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মাইনুল হোসেন বিপ্লব ভোলা সরকারি ফজিলাতুন নেসা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন মিলুকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটির তদন্তে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগসহ দুর্নীতির প্রমান মেলায় তাকে দশ কর্ম দিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য বলা হলে তিনি কলেজে উপস্থিত হয়নি এবং জবাব না দেয়ায় ২০-০৮.১৮ তারিখ ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজের গভর্নিং বডির সর্বসম্মতির সিদ্ধান্ত ক্রমে তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। এবং চুড়ান্ত বহিস্কারের জন্য পুনরায় সরকারি ফজিলাতুননেসা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্দদ ইশ্রাফিল স্যারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি করে। এই তদন্ত কমিটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ছিলেন ভোলা কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান মোঃ বশির উল্লাহ, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ হারুনুর রশিদ সহকারি অধ্যাপক মডেল কলেজ, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মোঃ ফকরুল আলম সহকারি অধ্যাপক মডেল কলেজ। এই তদন্ত কমিটি ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা থাকলেও, তদন্ত কমিটি তদন্তের জন্য ব্যাপক সময় ক্ষেপন করেন। অবশেষে ০৩-০৮-১৯ তারিখে তারা ভুয়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কলেজের গভর্নিবডি ১৪-০৮-১৯ তারিখে তাহাকে বহিস্কার করে তা অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। জাতীয় বিস্ববিদ্যালয় ভুয়া অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনকে বহিস্কারের চুড়ান্ত অনুমোদন দিলে গত ১৪-০৯-১৯ তারিখে নতুন আধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য কলেজের গভর্নিংবডির সর্বসম্মতিক্রমে পেপার বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মডেল কলেজের শিক্ষক পরিষদ ও অভিবাবকরা। তার বলেন দুর্নীতিবাজ নিজাম উদ্দিনের চুড়ান্ত বহিস্কারের মাধ্যদিয়ে ইলিশা মডেল কলেজ কলংক মুক্ত হলো। উ্ল্লেখ্য নিজাম উদ্দিনকে চাঁদাবাজি প্রতারণা তহবিল তসরুপসহ আরো অনেক গুলো অপরাধে রাজধানি ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে নিজাম উদ্দিন জেল হাজতে রয়েছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বরিশাল থেকে দুদকের একটি প্রতিনিধি দলও ভোলায় আসেন। দুদকের ওই দলটিও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সত্যতাসহ অপরাধের নানা প্রমান পেয়েছেন।