মনজু ইসলামঃ
এক সময়ের ভোলার রক্তাক্ত জনপদে ফের কসাই গংদের তান্ডব। এবার তাদের হামলার স্বীকার স্বয়ং জাজ কোর্টের নিয়োগকৃত উকিল কমিশন। ভোলার সন্ত্রাসী অধ্যষিত চরনেওয়াবাদের কসাইদের অত্যাচারে এর আগে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। খুন চাঁদাবাজি ধর্ষণ ওই এলাকার এই পরিবারটির নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিলো। সকলে ভোলার সন্ত্রাসী জনপদ হিসেবেই চিনতো এই এলাকাকে। রাতে তো দুরের কথা দিনের আলোতেই এই এলাকায় ঢুকার সাহস রাখতো না কেউ। শুধুমাত্র কয়েকটি পরিবারই এই এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াতো। পুলিশ লাইন্স হওয়ার পর এই এলাকায় বাহিরের মানুষ ঢুকতে শুরু করলেও গত বছর RAB-৮ এর অফিস হওয়ার পর ওই এলাকার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা কিছুটা গা ঢাকা দিয়ে কার্যক্রম চালাতে থাকে। তবে বছর না যেতেই ফের তান্ডব শুরু করে ওই সন্ত্রাসী, দখলদার ও চাঁদাবাজরা। তাদের দখলবাজির স্বীকার এবার খোদ ভোলার জাজ কোর্টের নিয়োগকৃত উকিল কমিশন।
ভোলার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আদেশ পালন করতে গিয়ে জজ কোর্টের নিয়োগপ্রাপ্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারি ভোলার সার্ভে কমিশনার এডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপর হামলা করেছে চরনেওয়াবাদের স্বীকৃত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা। হামলায় মদদ দেয়া সন্ত্রাসী গ্রুপের লিডারকে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে ভোলা থানার ওসি ছগির মিয়া।
২৩আগস্ট শুক্রবার দুপুর ২:৩০মিনিটের সময় ভোলার দক্ষিন চরনেবাদের ৮নং ওয়ার্ডে দেওয়ানী মামলার (১৯২/১৪)যার order 26 rule 13 আদেশ অনুযায়ী মামলার বাদী পক্ষের শাহানুর বেগম এবং বাদীপক্ষের কৌসুলী জামাল উদ্দিনসহ ভোলা সিনিয়র জজ আদালতের মামলার রায়ের আদেশ কার্যকর করতে বাদী পক্ষের জমির দখল বুঝিয়ে দিতে দায়িত্বপালন অবস্থায় বিবাদীদের হামলার স্বীকার হয়েছেন ভোলার জজ কোর্টের নিযুক্ত সার্ভে কমিশনার এডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
বর্তমানে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে (৮নং বেডে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উক্ত ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ছালেম কসাই গংদের ঘটনার সত্যতা জানতে মোবাইল ফোনে বা ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া পাওয়া যায়নি।
এ’ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ওসি ছগির মিয়া সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুলতান আহমেদকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন এবং হামলার ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা ভোলা থানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে আর কতকাল এই গংদের হাতে জিম্মি থাকবে ভোলার পুলিশ সুপার, জেলাজজ, সিভিল সার্জনসহ জেলার বিবিআইপিদের আবাস ভূমি চরনেওয়াবাদের নিরব চাঁদাবাজীর যাতাকলে পিষ্ঠ অসহায়দের এমনটাই প্রশ্ন ভোলার মানবতাবাদী পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের কাছে।