মোস্তাফিজুর রহমান-
ভোলয় নিজেকে খোদা দাবী করা ভন্ড মজিদের আব্দুল্লাহ পুরের আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছেন উত্তেজিত জনতা। গতকাল কয়েক হাজার গ্রামবাসি এই ভন্ড খোদার আব্দুল্লাহ পুরের আস্তানায় হামলা করে তার এই জঙ্গী আস্তানা গুরিয়ে দেয়ার সময় পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রন করলেও তার অনুসারীরা দিক বিদিক পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করে। এই আব্দুল্লাহ পুরকে মদিনা ঘোষনা করে কিছুদিন আগে আমিনাবাদের মক্কা থেকে তাড়া খেয়ে কথিত এই মদিনায় হিজরত করেন ভোলায় সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম আসামী প্রফেসর আব্দুল মজিদ । তিনি চরফ্যাসনের আমিনাবাদ ইউনিয়নে ঘাটি গেড়ে কালেমার জামাত নামে একটি জঙ্গী সংগঠন গড়ে তুলেছেন। চরফ্যাসন থানা থেকে ৩ কিঃ মিঃ দূরে গড়ে উঠা এই জঙ্গী সংগঠন সম্পর্কে প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা ওয়াকি বহাল থাকলেও অজানা কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি তারা। সম্প্রতী সময়ে তিনি চরফ্যশনের আমিনাবাদকে মক্কা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ী আব্দুলাহপুর কে মদিনা ঘোষনা করেন এবং সেখানে সকল ধর্ম প্রান মুসলমানকে হজ্জ্ব করার আহব্বান জানালে চরফ্যাশনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, দেখাদেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা।
স্খানীরা জানান প্রশাসনের কিছু অসৎ লোকের মদদে এ ধরনের জঙ্গি আস্থানা গড়ে উঠলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আজও। এ ভন্ড খোদা দিনের পর দিন নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে চরফ্যাশন উপজেলায় ধর্ম প্রান মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থতি তৈরি করছেন। ইতোমধ্যে ১৫০০জন কালেমার জামাতি সাথীকে কুরআন শপথ করে মৃত্যুর জন্য তৈরি করেছেন। কিন্তু আজ গনরোষে কোন প্রকার প্রতিরোধ ছাড়াই পালিয়ে যান নিজেকে খোদা দাবী করা প্রফেসর আব্দুল মজিদ। এদিকে এই ভন্ড খোদা দাবী করা মজিদের আব্দুল্লাহ পুরের আস্তানা থেকে তাকে তাড়ানোর পরে এখন আমিনাবাদের কুলসুম ভাগের আসস্তানাও গুড়িয়ে দিতে যে কোন মুহূর্তে হমালা হতে পারে। এই হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে প্রশসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
