মনির আহাম্মেদঃ-
ধামরাইয়ের গোলাইল গ্রামে বিয়ের দাবিতে এক কলেজছাত্রী অনশন শুরু করেছেন। গত সোমবার থেকে টানা চারদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে চলছে তার অনশন। এ ঘটনায় এলাকায় কয়েক দফায় সালিশ বৈঠক করেও কোন সুরাহা হয়নি। অভিযোগ ওঠেছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার পাঁয়তারা করছে একটি চক্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে না করলে ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের গোলাইল গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলের চাকরি হওয়ার আগে পাশের বান্নল গ্রামের ওই মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতো। সেসময় থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দুই বছর পর সুমনের চাকরি হয়। গত সোমবার ছুটিতে এসে সুমন ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সুমন তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন।
এরপর ওইদিন থেকেই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে কলেজছাত্রী। একপর্যায়ে ছুটিতে থাকা সুমন ওইদিনই বাড়ি থেকে গা ঢাকা দেন।
এ নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারের বাড়িতে কয়েকশ’ লোকের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ সালিশ বৈঠকে বসে। সেখানে সুমনকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার কথাও উত্থাপন করা হয়। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন কলেজছাত্রী। স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল হক বলেন, এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আবারও বসা হবে।
কলেজছাত্রী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে প্রেম করে এখন বিয়ে না করার হুমকি দিচ্ছে সুমন। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
এ ব্যাপারে সুমনের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, আমার ছেলে সুমন এখন তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। আমরাতো ছেলেকে জোর করে বিয়ে করাতে পারি না। সুমনের দুলাভাই সুকুম উদ্দিন বলেন, সালিশের পর একটি পক্ষ আমার শ্বশুরের কাছ থেকে মঙ্গলবার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নিয়েছে। আমাদের কাছে তারা টাকাও দাবি করছে। না দেয়াতে তারা বিষয়টি আরও ঘোলা করছে।