এইচ এম নাহিদ, ভোলা ॥
দেশের সরকার যখন উন্নতশীল রাষ্ট হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করছেন, দেশকে স্বংয় সম্পুর্ণ খাদ্য সমৃদ্ধশীল একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যখন শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধ পরিকর। সেই দেশের একটি খাদ্য গোডাউন কিভাবে মাসের পর মাস সম্পুর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকতে হয় তার কারন আজো ভোলার মানুষের অজানা । বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিছেন ভোলার সংশ্লিষ্ট মহল।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ভোলার আলিয়া মাদ্রাসা সঢ়ক সংলগ্ন ভোলার খাদ্য গোডাউনটি সম্পুর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে মাসের পর মাস, যেন দেখার কেউ নাই। বৃষ্টি ¯œাত আষার মাসে চারদিকে অভিরাম বৃষ্টি পড়ছে। দিনের বেলায়ও যেন রাত্রির উপস্থিতি, রাঁত নামলেই ঘাড় অন্ধকারে ছেয়ে যায় পুরো শহর । শহরের অসাধু লোকজন এমনিতেই সর্তকতার সাথে সব কিছু পর্য়বেক্ষন করছে। এমনি একটি সময়ে ভোলার খাদ্য গোডাউনটি অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে যে কোন মানুষেরই ভাবনার বিষয় হয়ে দাড়ায়। এমনিতেই পুরো ভবন জরাজীর্ণ, গোডাউনের একমাত্র বাউন্ডারী গেইটি ভেঙ্গে চুরমার। একটি তালা লাগানোর মত অবস্থা নেই । দিনের বেলার মত রাতেঁও গোডাউনটি খোলা থেকে যায়। কর্তৃপক্ষ কোন শিপ্টে পাহারার ব্যাবস্থা টুকু পর্যন্ত করেন নাই। গোডাউনের ভিতরে রয়েছে সরকারের প্রায় ১০ কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে কোন গুরুত্ব নেই।
এনিয়ে গোডাউন ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার বলেছি শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছে, সম্ভবত খুব শিগ্রই এর মেরামত কাজ হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাহসীনুল হকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আসলে ঘটনাটি খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি । আমাদের ইঞ্জিনিয়ার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। গোডাউন অরক্ষিতর বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, আমি শিগ্রই এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি।