মনির আহাম্মেদঃ-
আজকাল চলছে বিবাহের পূর্বে অবৈধ প্রেম বা নোংরামি সম্পর্ক। যার কোন রাষ্ট্রীয় অথবা ধর্মীয় স্বকৃতি নেই। একজনের সাথে প্রেম অন্যজনের সাথে বিয়ে অথবা একাদিক অবৈধ প্রেম চলছে সচারচর। এ পরিনতিতে ঝড়ে গেলে আবারও একটি তাজা প্রান। কে নেবে রিফাত হত্যার দায় ?? কি অপরাধ রিফাতের?? কোন নারীকে নিয়ে সংসার সাজানো জীবন কি অপরাধ?? কোথায় সেই আজ অবলা নারী??
গতকাল বিকেলে রিফাতের বাবার মায়া কান্নার করুন সূরে বলেন,আজকাল বেশি ভাগ মেয়েরা একাদিক ছেলেদের সাথে ভালোবাসার নামে নোংরামি প্রেম খেলায় মেতে উঠেছে ও বিয়ের আগে একাদিক অধৈদ সম্পর্ক থাকে, তাই বিবাহের পূর্বে মেয়েদের ভালো করে খোজ খবর নেওয়া উঠিত। ভালোবাসার নামে যে অবৈধ প্রেম কাহিনী রচিত হয়, তা একটি মরন নেশা এবং সংসার ভাঙ্গার বড় কারন।
উল্লখ,গত দুইমাস আগে পুলিশ লাইন সড়কের মিন্নি নামের এক মেয়ের সাথে বিয়ে হয় রিফাতের। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের দুলাল ফরাজীর একমাত্র ছেলে।
বুধবার বেলা ১টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে ৪-৫ দুর্বৃত্ত রিফাতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ সময় তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসক বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান।
নিহতের পরিবার জানায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর প্রেমিক নয়ন। রিফাতের সঙ্গে দু’মাস আগে পুলিশ লাইন সড়কের মিন্নি নামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন নামের এক যুবক মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকে।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, তার পুত্রবধূকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় তার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবীর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে,তাদের মধ্যে গ্রেফতারের ২জন গ্রেপ্তার হয়।