ভোলায় মাদ্রাসার ভেতরে গনধর্ষন ২ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলার চরফ্যশনে মাদ্রাসার ভেতরে গনধর্ষন মামলার ২ আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ আদালতে দীর্ঘা শুনানী শেষে চরফ্যশন কোর্টের দায়িত্বরত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ফরিদ আলম এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ এফ্রিল ভিকটিম ১ সন্তানের মা কে জোরপুর্ব হাজারী গঞ্জ খেজুর গাছিয়া মাদ্রাসার ভেতর নিয়ে আসামি আবু তালুকদার, রেদোয়ান, জাকিরসহ আরো অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জন মিলে গনধর্ষন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। শষিভুষন থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে ২ দদিন হাসপাতালে থাকার পর ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ এপ্রিল মামলা রুজু করে ওই দিন রাতেই ১ নং আসামি আবু তালুকদার ও ৩ নং আসামী রেদোয়ানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ মোক্তার হোসেনপিপিএম এর নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আবুল হাসান খান রিমান্ডের প্রেয়ার দিলে আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে আজ রিমান্ডের দিন ধার্য করেন। আজ রাষ্ট্র পক্ষে কোর্ট ইনিস্পেক্টর রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাস ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানী করলে আদালত তার বক্তব্যে সন্তোষ্ট হয়ে প্রথম বারের মত ৭ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মোঃ ফরিদ আলম। আদেশ শেষে কোর্ট ইনিস্পেক্টর রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে গনধর্ষন করে মাদ্রাসার ভিতরে ফেলে রাখার এই লোমহর্ষক অমানুবিক ও মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনার সুষ্ট তদন্ত, অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের সার্থে পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন পিপিএম এর সার্বিক তত্তাবধায়নে রিমান্ড শুনানী হলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। আদালতের এই আদেশে চাঞ্চল্যকর এই গনধর্ষনের প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শষিভুষন থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমকে আমরা মাদ্রাসার ভিতর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ২ দিন পর ভিকটিম হাসপাতাল থেকে এসে মামলা করার পর ওই দিন রাতেই আমরা এজাহারের ১ ও ৩ নং আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আজ আদালতের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশে বাকী অজ্ঞাত আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতার করতে পারবো।

SHARE