ভোটের জেরে নোয়াখালী সুবর্ণচরে ফের গণধর্ষণ।

বিশেষ প্রতিনিধিঃভোলা নিউজ
সুবর্ণচরে আবারো ভোটের রাতে গণধর্ষণ। এবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর চশমা মার্কায় ভোট দেয়ায় ৬ সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এলাকাবাসী জানান, রোববার রাত ১২টা ২০ মিনিটে সুবর্ণচর উপজেলায় চর জব্বর ইউনিয়নের উত্তর বাগগ্যার মো. শাহাজাহানের স্ত্রী ৬ সন্তানের জননী (৩৫) ধর্ষণের আলামত সহ এবং তার স্বামী শাহাজাহানকে মারধরে আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষিতা বর্তমানে ২নং গাইনি ওয়ার্ডে ২ নম্বর ইউনিটে চিকিৎসাধীন। গাইনি বিভাগের প্রধান নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু নাছেরের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।ভিকটিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান তিনি ও তার স্বামী উপজেলা নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিনের চশমা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালা প্রতীকের বাহার চৌধুরীর সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ মাঝি ভোটের আগের দিন রাতে তাদের বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না আসার জন্য তাদের হুমকি দেন। তারপরও ভোটের দিন তিনি ও তার স্বামী ভোট কেন্দ্রে আসেন এবং চশমা মার্কায় ভোট দেন। ভোট দিয়ে বাহিরে এলে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ মাঝিসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে রাতে দেখাবে বলে হুমকি দেয়। দুপুরে ভোট দেয়ার পর ভিকটিম তার স্বামী সহ আটকপালিয়া বোনের বাড়িতে যায়। সন্ধ্যা ৭টায় সেখান থেকে হোন্ডাযোগে বাড়ি ফেরার পথে সেই আলোচিত গণধর্ষক রুহুল আমিনের মাছের খামারের নিকট পৌঁছলে ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে বেছু মাঝি, আবুল বাসার, ফজলুল হক, হেলাল উদ্দিন, রুবেল, আরমান, জাহান সহ ১০-১২ জন তাদের হোন্ডার গতি রোধ করে লাথি মেরে তার স্বামীকে হোন্ডা থেকে ফেলে দিয়ে ৫/৬ জন তার স্বামীকে চেপে ধরে অন্যরা তাকে অস্ত্রের মুখে রুহুল আমিনের মাছের প্রজেক্টের কলা বাগানে নিয়ে যায়। এবং সেখানে তাকে অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগ নেতা বেছু মাঝি, আবুল বাসার ও ফজলুল হক দফায় দফায় ধর্ষণ করে অজ্ঞান করে ফেলে। এই ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যা জানান, ভর্তির পর থেকে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে জখমের দাগ পাওয়া গেছে এবং ধর্ষণের আলামত স্পষ্ট বলে চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন। তবে আলামত সংরক্ষণের জন্য ভিকটিমের “ভ্যাজেনা সোয়াব ও ফিজিক্যাল টেস্ট” সম্পূর্ণ হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন আজিম জানান, পুলিশ বা আদালত রিকুইজিশন দিলে ভিকটিমের অন্যান্য টেস্ট করা হবে।

SHARE