এম রহমান রুবেলঃ
পুলিশ সত্যিকারে মানুষের বন্ধু। মানুষের যে কোন প্রকার বিপদে পাশে দাড়ায় পুলিশ। আর মানুষও বিপদে পরলে যার কাছে যায় সেই বাহিনিটির নামও পুলিশ। কিন্তু দেশের জনসংখ্যার তুলনায় সামান্য কয়জন পুলিশ গোটা জাতির নিরাপত্তায় হিমসিম খেতে হয় প্রতি নিয়ত। তার পরেও রাতের পর রাত দিনের পর দিন নিরবিচ্ছিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কোন প্রকার অনুযোগ ছাড়াই। ভোলার পুলিশও এই সেবা থেকে পিছিয়ে নেই। ভোলার পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন পিপিএম যোগ দেয়ার পর থেকেই যেন ভোলার পুলিশ সকলের সেবকে পরিনত হয়েছেন। বোরহানউদ্দিনের জ্বিনদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে অসহায় মা এর কাছে ফেত দেয়া, চরফ্যাশন ও লালমোহনের ছিনতাই কারিদের গ্রেফতার করে ছিনতাইকৃত টাকা প্রকৃত মারিকের কাছে পৌঁছেদেয়ার মত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন পিপিএম এর বিড়ল দৃষ্টান্তের পর এবার সামান্য একজন পুলিশ সৈনিকের মহানুভবতা দেখে হতবাক পুরো ভোলাবাসি। সকল লোভের উর্ধে উঠে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন কুড়িয়ে পাওয়া পথচারীর দামি মোবাইল ফোন। এ যেন ভোলার বদলে দেয়া পুলিশ সুপারের যাওয়া পুরিশের অনন্য দৃষ্টান্ত।
২ এপ্রিল দৌলতখান থানায় কর্মরত কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম বাংলাবাজার হইতে থানায় আসার পথে জনাব জিয়াউল মোরশেদ সহকারী অধ্যাপক সরকারি আবি আব্দুল্লাহ কলেজ এর হারিয়ে যাওয়া স্যামসাং জে 7 মডেলের মোবাইল ফোনটি রাস্তার উপর পরা অবস্থায় পাইয়া উক্ত কনস্টেবল জনাব মোঃ এনায়েত হোসেন অফিসার ইনচার্জ দৌলতখান থানা বরাবর হস্তান্তর করিলে অফিসার ইনচার্জ উক্ত জিয়াউল হককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানাইয়া তার মোবাইল ফোনটি তাহার নিজ হাতে হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় তৎক্ষনিক সাধুবাদ জানিয়েছেন ভোলার নদী ভাংতি মানুষের আপনজন ও কর্মী বান্ধব আওয়ামীলীগ নেতা মাইনুল হোসেন বিপ্লব।
সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি।
সাধুবাদ জানিয়েছেন ভোলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু। তিনি তার ফেইসবুকে তাৎক্ষনিক এ প্রতিক্রিয়ায় জানান।