বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অঞ্জনা রানী শীল (২৫) নামের এক নার্সকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন মহেন্দ্র বিশ্বাস (৩৭) নামের এক দুর্বৃত্ত। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কমলপুর এলাকার মাতৃকা জেনারেল হাসপাতাল (প্রা.) এর সামনে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে দা নিয়ে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন মাহেন্দ্র বিশ্বাস। কিছুক্ষণ পর ডিউটি করতে অঞ্জনা হাসপাতালে প্রবেশ করার মুহূর্তে পিছন দিক দিয়ে তাঁর কাঁধে দা দিয়ে কোপ দেন মাহেন্দ্র। এতে অঞ্জনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় মাহেন্দ্র দৌঁড়ে পালাতে চাইলে উপস্থিত জনতা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এদিকে গুরুতর আহত অঞ্জনাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাতৃকা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. কামাল উদ্দিনএনটিভি অনলাইনকে বলেন, অঞ্জনা আহতের খবরে আমরা তৎক্ষণাৎ তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠায়। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, অঞ্জনা আহতের ঘটনায় অভিযুক্ত মাহেন্দ্রকে জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এই ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অঞ্জনার সঙ্গে মাহেন্দ্রর বউয়ের ধর্ম-বোনের সর্ম্পক। সে হিসেবে প্রায়ই তাদের বাসায় যাওয়া-আসা করতেন অঞ্জনা। এরই মধ্যে মাহেন্দ্রর কুনজর পড়ে তাঁর ওপর। বিবাহিত হলেও গত কয়েক মাস আগে তিনি অঞ্জনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে অসম্মতি জানান অঞ্জনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহেন্দ্রর বাসায় যাতায়াতসহ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর ওপর আজকের এই হামলা করা হয়। আহত অঞ্জনা নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র শীলের মেয়ে। তিনি মাতৃকা জেনারেল হাসপাতালে তিন বছর যাবত কর্মরত আছেন। আর মাহেন্দ্র বিশ্বাস সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈইলা গ্রামের মৃত মুকেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করছেন।