জসিম রানাঃ
ভোলার দৌলতখানে সন্তান প্রসবের ১১ ঘন্টা পর বিয়ে হল সন্তানের মায়ের। বিয়ের প্রলভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষন করলেও সন্তান সম্ভবা হলে তা মানতে অপারগতা দেখান লম্পট জন্টু। পরে ওসি এনায়েত হোসেনের একান্ত চেষ্টায় বাবার স্বীকৃতি পায় নিশ্পাপ নবজাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দৌলতখান উপজেলার উত্তর জনয়নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ীর মৃত স্বপন কাজীর ছেলে মোঃ জান্টু সাথে প্রায় ২বছর পূর্বে প্রেমের জালে আটকা পরে ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোঃ সেলিমের মেয়ে কামরুন নাহার। লম্পট জান্টু নাহারকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ২বছর যাবৎ লাগাতর অবৈধ মেলামেশা করে। এতে এক সময় নাহারের গর্ভে জন্ম নেয় অবৈধ এক সন্তান। এসময় নাহার কোন উপায়-অন্ত না দেখে বিয়ের জন্য জোড়ালা ভাবে হাতে পায়ে ধরে প্রেমিক জান্টুর। কিন্তু জান্টু কোন ভাবেই আর ধরা দিচ্ছিল না নাহারকে। অন্যদিকে নাহারের এ দশা দেখে তার গার্ডজিয়ানরাও মুখ ফিরিয়ে নেয় তার থেকে। এ কলঙ্ক জনক ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে গেলে সমাজে মুখ দেখানোর মত কোন উপায় ছিলনা হতভাগী নাহারের। অন্যদিকে দিনে দিনে অবৈধ সন্তানটি বড় হতে থাকে নাহারের গর্ভে। কিছু দিন পূর্বে রাগে-ক্ষোভে নাহার সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যা করে এ কলঙ্কথেকে চির বিদায় নিবে সে। নাহার নিজেকে শেষ করার জন্য বার বার চেষ্টা করলেও নিষ্পাপ সন্তানের কথা চিন্তা করে বিরত থাকে আত্মহত্যার পথ থেকে। অন্যদিকে সন্তান প্রসবের ৩ মাস আগেথেকে বেঈমান জান্টু পুরোপুরি ভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় নাহারের সাথে। পরে নাহার অবৈধ সন্তানের কারণে সামাজিক অপবাধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখে বিভিন্ন যায়গায়। গত ১৩ মার্চ রাত ২টার দিকে এক বান্ধবীর বাসায় থাকাকালিন নাহারের প্রসব বেদনা দেখা দেয়। এসময় নাহার জান্টুকে ফোন দিলে সে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে ফোন কেটে দেয় নাহারের। ওই মুহুর্তে জান্টু নাহারকে বলে তুই মরে গেলেও আমি তোর কাছে আসতে পারব না। পরে কোন উপায় অন্ত না দেখে নাহারের বান্ধবী রাত ৩টার দিকে নাহারকে ভর্তি করে ভোলা সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ভর্তির এক ঘন্টা পরেই নাহারের কোল জুড়ে দুনিয়াতে চোঁখ রাখে এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান। এ বিষয়টি এতদিন কিছুটা গোপন থাকলেও সন্তান প্রসবের পরপরই ভোলার মিডিয়া কর্মীদের কানে চলে আসে নাহারের বিগত দিনের করুন জীবন কাহিনী। এসময় একাধিক মিডিয়া কর্মীরা এ বিষয়টি দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেনকে অবগত করলে সে তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে লম্পট জান্টুর পরিবারকে চাঁপ প্রয়োগ করে। এতে জান্টুর পরিবার ১৪ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে দৌলতখান থানায় হাজির করে প্রতারক জান্টুকে। এ বিষয়ে ওসি এনায়েত হোসেন জানান, জান্টুকে তার পরিবার থানায় হাজির করার পর উভয়ের গার্ডজিয়ানদের উপস্থিতিতে দৌলতখান বাজারের একটি কাজী অফিসে জান্টুর সাথে কামরুন নাহারের ১লাখ টাকা কাবিনে বিয়ের কার্জ সমাধান করা হয়। তবে কাবিনের ধার্যকৃত টাকা কম হওয়াতে নাহারের গার্ডজিয়ানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।