এম এইচ ফাহাদ-বিশেষ প্রতিনিধি। বিশ্বের একসময়ের পপ সম্রাট ও বাংগালীর বন্ধু শিল্পী জর্জ হ্যারিসনের শুভ জন্মদিন আজ।
জর্জ হ্যারিসন বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট। বিখ্যাত ব্যান্ড সঙ্গীত দল ‘দ্য বিটল্স’ এর চার সদস্যের একজন হিসেবে তিনি বিখ্যাত।
বাংলাদেশিদের কাছে অন্যসব বিদেশি সঙ্গীতশিল্পীদের তুলনায় জর্জ হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। এর পেছনের কারণ ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ।’
আজ এ প্রতিভাধর শিল্পীর শুভ জন্মদিন। জর্জ হ্যারিসন ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন।
জর্জ হ্যারিসন সঙ্গীত পরিচালনা, রেকর্ড প্রযোজনা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রায় সবক্ষেত্রে সমান দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তার শিল্পী জিবনে।
প্রকৃতপক্ষে লীড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি এলবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লিখা ও সুর দেয়া দু’একটি একক গান থাকতো যা তার প্রতিভার পরিচায়ক ছিল।
বিটলস্ এর হয়ে এ সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গীটার জেন্টলী উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান এবং সামথিং ইত্যাদি জনপ্রিয়।
বিটলস্ ভেঙ্গে যাবার পরও তার জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০-পরবর্তী সময়ে তার অনেক গান প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়েছিল। এ সময়কালের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- মাই সুইট লর্ড (১৯৭০), গিভ মি পিস অন আর্থ (১৯৭৩), অল দোজ ইয়ার্স এগো (১৯৮১), গট মাই মাইন্ড সেট অন ইউ (১৯৮৭)
১৯৭১ সালের কথা। বাংলাদেশে চলছে স্বাধীনতা যুদ্ধ। পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য জর্জ হ্যারিসনকে বেদনাতুর করে তুলে।পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের এই শিল্পী ভারতীয় পন্ডিত রবি শংকরের সঙ্গে দুটি দাতব্য সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
এছাড়া ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে এক বেনিফিট সঙ্গীত অনুষ্ঠানের (কনসার্ট ফর বাংলাদেশ) আয়োজন করেন। এই কনসার্ট হতে সংগৃহীত ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য দেয়া হয়েছিল।
কনসার্টে জর্জ হ্যারিসন তার নিজের লেখা বিখ্যাত সেই মর্মস্পর্ষি ‘বাংলাদেশ’ গান পরিবেশন করেন। কনসার্টের টিকেট, ক্যাসেট হতে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ইউনিসেফের ফান্ডে জমা করা হয়।
২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর হ্যরিসন ৫৮ বছর বয়সে মেটাস্টাটিক নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সারে মারা যান বাংগালী ইতিহাসের মুক্তিযুদ্ধকার সময়ের পরম এই বন্ধু পপ শিল্পী জজ হ্যারিসন।