নিউজ ডেস্কঃ
কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে হামলার রেশ না কাটতেই সোমবার স্বাধীনতাকামীদের সাথে গোলাগুলিতে মেজরসহ চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। পিংলান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালান সন্দেহভাজন যোদ্ধারা এমনটাই দাবি ভারতের।
নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে নিহত হয় দুই স্বাধীনতাকামী ও তাদের আশ্রয়দাতা। এদিকে সহিংসতার এসব ঘটনার মধ্যে আবার উত্তেজনা বেড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে। এদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি তুলেছে ভারতীয় জনগণ। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। ভারতের হুমকি-ধমকির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাক প্রধান ইমরান খান এক দিকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, অন্যদিকে তার দেশে কোনো হামলা হলে সমুচিত জবাব দেয়ারও হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। কিন্তু ভারতে জনগণ থেকে শুরু করে রাজনীতিক বা সরকারি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেও ঠাণ্ডা মাথায় কৌশলী ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান।
এদিকে নিজের সরাসরি কোন সংঘাতে না জড়িয়ে তৃতীয়পক্ষকে দিয়ে ভারতকে মোকাবেলা করার কৌশলে হাঁটছে ইমরান খানের সরকার। চলমান উত্তেজনা কমাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে অনুরোধ করেছে পাকিস্তান।
১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কুরেশি এক চিঠির মাধ্যমে এ অনুরোধ করেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া।
সেই চিঠিতে কুরাইশি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বলপ্রয়োগের হুমকির পর আমাদের এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে আমি আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করছি। উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কাজেই পরিস্থিতি শান্ত করতে জাতিসংঘ অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
পাকিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা জানি নিজেদের কীভাবে বাঁচাতে হয়।
ভারত কোনো তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানে ওপর দোষ দিচ্ছে যা সম্পুর্ন অন্যায়। পাকিস্তানের ওপরে দোষ চাপিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। বিশ্বে কেউ তা বিশ্বাসও করবে না।