আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলানিউজ.কম,
সাবেক অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন শাহিন মিয়া ছিলেন একজন সৎ ও র্নিলোভ মানুষ।নিজের জন্য কখনো কিছু করেনি এবং কিছু চায়নি। দলের জন্য নিবেদীত প্রান ছিল। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে একাধিকবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সোমবার (১৫অক্টোবর) দুপুর ২টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আযোজিত মরহুম মোফাজ্জল হোসেন শাহিন মিয়ার জানাজা নামাজে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, ভোলার মানুষ একজন সৎ, দক্ষ ও ত্যাগী রাজনীতিবীদকে হারিয়েছে। মোফাজ্জল হোসেন শাহীন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে একজন প্রবীন ও ত্যাগী রাজনীতিবীদ হিসেবে জানেন। মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া মোনাজাত করি, আল্লাহ যেন এই সৎ, র্নিলোভ মানুষটিকে জান্নাতের নসিব করেন।
জানাজা নামাজের পুর্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোফাজ্জল হোসেন শাহিন মিয়ার মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেন ও ওসি ছগির মিঞা।
জানাজা শেষে পরানগঞ্জ নিজ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হন। জানাজায় বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ছাড়াও ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মকুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেন, পৌরমেয়র আলহাজ্জ মনিরুজ্জহামান মনির, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন , জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকীব , এনামুল হক আরজু , সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইউনুস , সাবেক সিভিল সার্জন ডা: আবদুল মালেকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ জানাজা নামাজে অংশ নেন।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বার্ধক্যজনিত কারনে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি ২ ছেলে রেখে গেছেন।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৫অক্টোবর-২০১৮ইং)