সেলিম রানা চরফ্যাশন,
আবুল কাশেম অভিযোগ করেন, নজরুল ও খাদিজা দু’জনে প্রেম করে পালিয়ে ১ জুলাই ফরিদপুরে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। ওই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি খাদিজার বাবা মোস্তফা। তিনি ৪ জুলাই দক্ষিণ আইচা থানায় মেয়ে নিখোঁজ বলে সাধারণ ডায়রি করেন।পরবর্তীতে ২ আগষ্ট নজরুল, নজরুলের মা, ভাই, ভাবিসহ ৬ জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা করেন। ওই মামলায় থানা পুলিশ ৬ আগষ্ট নজরুল, নজরুলের মা সালেখা, ভাবি জাহানারাকে দুগ্ধ পোষ্য দেড় বছরের কন্যা সানজিদাসহ এবং বড় মেয়ে জামাতা রিয়াদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এরপর ক্ষুব্দ খাদিজার বাবা মোস্তফা দিদার ও চাচা আল আমিন দিদার গত ৮ জুলাই নজরুলের বসত ঘর লুট করে আগুন দিয়ে পুড়ে দেন। এতে নজরুলের পরিবারটি গৃহহারা হন।
এঘটনায় নজরুলের বোন রুমা বাদী মোস্তফাসহ ৯ জনকে আসামী করে চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মোস্তফা দিদারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুম তালুকদার জানান, মামলার কপি পেয়েছি। দু একদিনের মধ্যে তদন্ত শুরু করা হবে। তদন্ত শেষে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে অপহরণ মামলায় নজরুল ব্যতিত গ্রেফতার হওয়া সকল আসামী জামিন পেয়েছেন। মামলার ভিক্টিম তার পিতার হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
(আল-অামিন এম তাওহীদ , ২সেপ্টেম্বর-২০১৮ইং)