তজুমদ্দিন প্রতিনিধি-ভোলানিউজ.কম,
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে নয় ডাকাতকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর নাছরিন সংলগ্ন নদী হতে এদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আহত ৫ কৃষক ও ৬ জলদস্যুকে রাত সোয়া আটটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ,হাসপাতাল ও আহত মালেক মাঝি সুত্রে জানা যায়, সোনাপুর ইউনিয়নের মহেষখালী নামক এলাকা থেকে চর নাছরিনের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রিবাহী ট্রলার ছেড়ে যায় বিকাল ৪টায়। আধা ঘন্টা পর যাত্রীবাহী ট্রলারটি চর নাছরিন সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে তীরের কাছাকাছি অপর একটি ট্রলারের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় যাত্রীদের। এ সময় যাত্রীরা মাছঘাটের লোকজনকে ফোন করে নদীরতীরে আসতে বলে। পরে ঘাটে রমাঝি-মাল্লারা অপর একটি ট্রলার নিয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ডাকাতের ট্রালারটি বরিশালের খাল নামক মাছ ঘাটের দিকে চলে যেতে থাকে। জেলেদের ফোনে সংবাদ পেয়ে বরিশালের খাল মাছ ঘাটের জেলেরা আরেকটি ট্রলার এসে ডাকাতদের সামনে থেকে ধাওয়া করলে রগকাটা চর সংলগ্ন মেঘনায় এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে।এ সময় জেলেরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সংবাদ দেয়। চর নাছরিনের জেলে মালেক মাঝি জানান, এ সময় ডাকাতরা জেলেদের উপর এলোপাথারী র্ছড়া গুলি ছোড়ে ও কুপিয়ে আহত করে ৩ জেলেকে। পরে ডাকাতরা লোকালয়ের গহীন জঙ্গলে ঢুকে পড়লে জেলেরা ৯ ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দেয়। বাকীরা গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এর পর পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছলে আটককৃতদের স্থানীয়দের হাতে তুলে দেয়। আটককৃত ৯ ডাকাতের মধ্যে ইসমাইল ওরফেকালু (২৫), মাহফুজ (৪৫), ফরিদ (৪০), আশরাফ (৩৮) এর বাড়ি রামগতি থানায় এবং নজির (৬৫) এর বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলায় বলে জানা গেছে। অপর ৪ ডাকাতকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন পর্যন্ততাদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃফারুক হোসেন জানান, পুলিশের নেতৃত্বে কোষ্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আটককৃত ৯ ডাকাত পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের নামে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হবে।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৯আগস্ট-২০১৮ইং)