ভোলায় জেলেদের নয়া আতংক নৌ-পুলিশের প্রত্যাহার দাবী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলা নিউজ-২৪.০৭.১৮

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নে “স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ “এই স্লোগানে মৎস্য চাষ বিষয়ক উদ্ধুকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে ইলিশা জংশন মৌলভীর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাঈন আহমেদ হাছান মিয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে রাখেন ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকতা আহসান হাসিব, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকতা আসাদুজ্জামান।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মোক্তার হোসেন, ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হোসেন শহীদ সোহরায়ার্দী, আওয়ামীলীগ নেতা সায়েদ আলী জমাদারসহ ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও জেলে ও তাদের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইকোফিশ এর সহ-ব্যবস্থাপক সোহেল মাহমুদ।
এই সময় উপস্থিত জেলেরা অতিথিদের অভিযোগ করেন ইলিশা নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে জেলেরা জানান, নদীতে কারেন্ট জাল অবৈধ কিন্তু সুতার জালতো বৈধ আমরা সুতার জাল নিয়ে গেলেও নৌ-পুলিশের কর্মকতারা ধরে এনে চাদাঁ দাবী করে এবং প্রতিটা জেলে নদীতে গেলেই তাদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া লাগে। মফিজ মাঝি নামে এক জেলে জানান, আমি পানি হিসে মাছ ধরেছি সেই মাছ ও নৌ-পুলিশের স্যারেরা নিয়ে গেছে। শাহাবুউদ্দিন মাঝি জানান, সরকার নৌ-পুলিশ দিয়েছে নদীতে জলদস্যু ও ডাকাত থেকে রক্ষার জন্য। কিন্তু এখন তারাই আমাদের কাছে আতঙ্কের নাম। আমরাতো এই নিরাপত্তা চায়নি ? জেলেরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে পেয়ে তাদের মনে কথাগুলো এই ভাবেই ব্যক্ত করেন। তারা নৌ-পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকতাদের প্রত্যাহারের দাবী জানান এবং বানিজ্যমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চেয়ারম্যান হাছনাঈন মিয়া জানান, নৌ-পুলিশ চাদাঁবাজী বন্ধের জায়গায় যদি তারা নিজেরাই করে তাহলে সাধারন জেলেরা যাবে কোথায় ? এই সময় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন, নৌ-পুলিশ দিয়েছে সরকার জেলেদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু নিজেরাই যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষক হয়, তাহলে তাদের প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় ভোলার জেলেদের শান্তির জন্য নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি দিয়েছে চাদাঁবাজীর জন্য নয়। জেলেদের নিরাপত্তায় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুলাই দৈনিক পত্রিকাসহ কয়েকটি আঞ্চলিক ও অনলাইনে ফুঁসে উঠেছে জেলে এবং স্থানীয়রা ভোলায় নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে জেলেদের হয়রানীর অভিযোগ এই শিরোনামে সচিত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্টটি ভোলার টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। পত্রিকা সংগ্রহের জন্য জেলে এবং স্থানীয়রা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তখন পত্রিকা সংকট দেখা গেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে জেলে এবং স্থানীয়রা ওই সংবাদের পেপারটি পাঠকরা ফটোকপি করে পত্রিকা সংগ্রহ করেন।

SHARE