অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
দরজায় কড়া নাড়ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। প্রার্থীরা জোর কদমে চালাচ্ছে তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। নগরীর অলি-গলি সেজেছে নানা রকম পোস্টার, ব্যানারে। চারদিকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। রাজশাহী নির্বাচনে মোট ৪০টি ওয়ার্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর ভিতর ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৮ টি। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন মেয়র প্রার্থী। রাসিক নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হাবিবুর রহমান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ।
বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল রাজশাহীর সদ্য বিদায়ী মেয়র। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা ও নির্বাচন সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্য তিনি অব্যাহতি দিয়েছেন মেয়র পদ থেকে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনের জন্য। কিন্তু প্রচার প্রচারণায় তিনি জনবল সঙ্কটে রয়েছেন।
সম্প্রতি মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসার মদদদাতাদের গ্রেফতার করা হয় এবং এর অধিকাংশই বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মী। এর প্রভাব পড়েছে বুলবুলের প্রচার প্রচারণায়। বুলবুলের প্রচার প্রচারণা অনেকটা জনবল শূণ্য। প্রয়োজনের সময় ব্যানার লাগানোর মতো কর্মীও পাওয়া যাচ্ছে না। এর মূল কারণ মাদক বিরোধী অভিযান। তৃণমূলের অনেক নেতাই কারাগারে এবং যারা কারাগারের বাহিরে তারা পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে অনেকটা আড়ালে আবডালে থাকছে। এতে করেই বুলবুলের নির্বাচনী শিবির অনেকটা ফাঁকা।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিটনের যথেষ্ট জনবল মাঠে থাকার কারণে বুলবুলের থেকে অনেক এগিয়ে আছেন।
লিটনের প্রচারে নজর কেড়েছেন তার সন্তান অর্ণা জামান। বাবার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন লিটন কন্যা। শুধু তাই নয় বাবার প্রচার প্রচারণার জন্য অর্ণা জামান ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর মন জয় করেছে। এলাকাবাসী বলছে লিটনের প্রচার প্রচারণার জন্য অর্ণাই সব থেকে বড় ভূমিকা রাখছে। এদিকে জনবল শূণ্য বুলবুল তার সন্তানতুল্য অর্ণাকেও রেহাই দেননি কটূক্তি থেকে।
জনসমর্থন না পেয়ে দিন দিন বুলবুলের সৌজন্যতা লোপ পাচ্ছে। নিজের সন্তান সমতুল্য প্রতিপক্ষের সন্তানকে নিয়ে কোনোরকম কটূক্তি প্রার্থীদের কাছ থেকে আশা করেননা নগরবাসী। এমনটাই মনে করেন নগরীর বিশিষ্টজনেরা।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৪জুলাই-২০১৮ই)