কাগজ প্রতিবেদক।
প্রথম স্বামীর সংগে সংসার করতে করতেই দ্বিতীয় বিয়ের পিড়িতে বসেন রতনপুর এলাকার ইয়ানুর (৩৫) নামে এক নারী। দুই স্বামীরই মন জয় করে চলছিলেন। অবশেষে বিষয়টি প্রকাশ্য আসায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ সনে ভোলা ৬নং ধনিয়া ইউনিয়নের বলরামশুরা গ্রামের মৃত আবদুল খালেক মোল্লার এক মাত্র ছেলে আবদুল বারেক (৪৮) এর সাথে ভোলা শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার সংলগ্ন মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে ইয়ানুর বেগমের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কয়দিন পর পরই ইয়ানুর বেগম বোনের বাড়ীর কথা বলে মাকসুদ নামের এক রং মিস্ত্রীর বাসায় যাতায়াত করলে বিষয়টি ইয়ানুর বেগমের স্বামী আবদুল বারেককে গ্রামবাসী অবহিত করে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে আবদুল বারেক ইয়ানুর বেগমের কাছে জানতে চাইলে মাকসুদ নামে কাউকে চিনেননা বলে তিনি জানান এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবারি না করতে তার স্বামী আবদুল বারেককে সতর্ক করে দেন। ঐ রাতেই আবদুল বারেক মুঠোফোনে তার শাশুরী ও শ্যালক হাসানকে ইয়ানুর বেগমের বিষয়টি অবহিত করেন। পরদিন আবদুল আবদুল বারেক স’মিলে কাজে যাওয়ার সুবাধে ইয়ানুর বেগম ১৩/১২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৩.০০ টায় আবদুল বারেকের ঘরে রাখা হাওলাদকৃত তিন লক্ষ টাকা, দুই ভরি স্বর্ন ও কাপড় চোপড় নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলিয়া যায়। আবদুল বারেক কাজ শেষে বাড়ীতে ইয়ানুর বেগমকে খোজাখুজি করে না পেয়ে রাত ১০ টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং-২২৬২/২৪।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক লোক জানান, ইয়ানুর বেগম এক যুগ আগে মাকসুদ নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর তাদের ঘরে কোন সন্তানাদি না হওয়ায় গত ১০/০৯/২০২৪ ইং তারিখে মাকসুদকে তালাক প্রদান করেন এবং বিষয়টি গোপন রেখে ২০/১০/২০২৪ ইং তারিখে বারেক নামের এক স’ মিল মিস্ত্রীর সাথে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কয়েকদিন পরই ইয়ানুর বেগম ভোলায় তার স্বামীর ভাড়াটিয়া বাসা থেকে কয়েক বস্তা মালামাল সহ মাকসুদের বাসায় চলে আসেন। যা নিয়ে এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে কানাঘোষা চলে এবং ইয়ানুরের বিষয়টি গ্রামবাসী সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে দেখছেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন কি করে ইয়ানুর তালাকপ্রাপ্তা স্বামীর ঘরে বিয়ে ছাড়া পুনরায় সংসার করছেন? বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
আবদুল বারেক বলেন, আমার বাসা থেকে টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইয়ানুর বেগম আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিতে মুঠোফনে হুমকি ধামকি প্রদান করেন এবং পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনকে অবহিত করলে আমাকে উল্টো বলে আমি নাকি ইয়ানুরকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রেখেছি। বিষয়টি আমি আমার ভাড়াটিয়া ঘরের মালিককে অবহিত করিলে তিনি সিসি ফুটেজে দেখেন আমার স্ত্রী ইয়ানুর বেগম সহ একটি লোক দুই বস্তা মালামাল নিয়ে আমার ঘর হইতে চলে যায়। আমি ইয়ানুরে চলে যাওয়ার ভিডিওটি ভোলা সদর মডেল থানার এএসআই আজিম হোসেন বাবুলকে দেখাই। তিনি আমাকে আদালতে গিয়া মামলা করার পরামর্শ দেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেন মাকসুদুদের বড় ভাই (সাবেক) ভুট্টো মেম্বার।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়ানুরবেগম ও মাকসুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায় নাই।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান