ভোলায় কিশোর-তরুনদের নিয়ে ডায়লগ অনুষ্ঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক…..
“চলো আমরা করি প্রতিবাদ সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড “এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরুন- তরুনীদের নিয়ে ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অর্ধ শতাধিক কিশোর- কিশোরী ক্লাবের সদস্য, তরুনী-তরুনীরা এতে অংশ নেয়।
এসময় সবার সম্মেলিত প্রচেষ্টায় ভোলা জেলায় বাল্য বিয়ের হার কমিয়ে আনার জন্য
কিশোর- তরুণদের ভূমিকা রাখতে আহবান জানানো হয়। এ সময় তাঁরা নারীশিশুদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করার দাবি জানিয়ে যেকোনো মূল্যে বাল্যবিবাহকে সমর্থন না করে তা প্রতিরোধ করারও শপথ নেন।
ভোলা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ এর বরিশাল বিভাগীয়
সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ অফিসার সনজিত কুমার দাস,সুশীলনের প্রজেক্ট অফিসার পলাশ মোড়ল,ইয়ুথ লিডার আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন করেন ভোলা জেলা তথ্য অফিসার শাহ আব্দুর রহিম নুরন্নবী।
ভোলা জেলায় ৬১ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার। দরিদ্রতা, পারিবারিক অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ধর্ম ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে এখনও বাল্যবিয়ের হার বেশি। শিক্ষার অগ্রগতির সঙ্গে বাল্যবিয়ে কমে এলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও কভিড-১৯ মহামারি এ অর্জনে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে নির্মূল করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের ভূমিকা রাখার আহবান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে দেশের শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহের পরিস্থিতি নিয়ে ইউনিসেফের করা একটি সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। প্রতিষ্ঠানটির আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার দাস এটি উপস্থাপন করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৩০ শতাংশ শিক্ষিত মানুষ জানেন বাল্যবিবাহ বেআইনি ও ক্ষতিকর। কিন্তু এরপরও তাঁরা বাল্যবিবাহকে সমর্থন করেন। এসময় তিনি কিশোর- কিশোরী, তরুন- তরুনীদের U-Report
লেখার কৌশল,নারী প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে ধারনা প্রদান করেন।
এসময় জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ছাড়াও উন্নয়নকর্মী, শিক্ষার্থী,স্বেচ্ছাসেবক, গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশ নেন।

SHARE