অনলাইন ডেস্ক:ভোলানিউজ.কম,
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কত জন নিহত হয়েছেন সেই সংখ্যাটি জানা নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের। তবে অভিযানে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেটা জানেন তিনি।
মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে সোমবার সচিবালয়ে কেরা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে সব কথা বলেন মন্ত্রী।
গত ৪ মে থেকে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। শুরুতে ১০ দিনে খুব বেশি প্রাণহানি না হলেও মে মাসের শেষ প্রান্তিতে প্রতিদিন ১০ জন বা তার চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে।
ঈদুল ফিতরের আগে দেড়শরও বেশি সন্দেহভাজন মাদকের কারবারি নিহত হয় অভিযানে। তবে সম্প্রতি প্রাণহানি কমে এসেছে যদিও প্রায়ই কারও না কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আর গত ১৪ বছর ধরে চলে আসা ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে র্যাব বা পুলিশ যে দাবি করে আসছে, এবারের বর্ণনাও তার সঙ্গে হুবহু এক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ‘যেখানে অবৈধ ব্যবসা, সেখানে অবৈধ টাকা, অবৈধ অস্ত্র তাই এ ক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে গোলাগুলি হওয়াটা স্বাভাবিক।’
‘তবে কাউকে হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কাউকে হত্যা করছি না। যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। যতদিন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে না আসবে ততদিন এ অভিযান চলবে।’
অভিযান চলাকাল এ পর্যন্ত কতজন বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মহূর্তে সংখ্যাটি বলতে পারছি না। তবে অভিযান শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট ও আদালতের মাধ্যমে মাদক সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করে ২২ হাজার জনকে কারাগরে বন্দী করা হয়েছে।’
অভিযান শুরুর পর মাদকে জড়িতদের অনেকে অবস্থান ত্যাগ তরেছে বা সরে পড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে যাই করুক। আমরা তাদেরকে ধরব।’
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৫জুন-২০১৮ই)