নিউজ ডেস্ক।।
জুলাই – আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোঃ নুরুল আহাদ তসলিম। বিশেষ প্রতিনিধি, ভোলা নিউজ, ভোলা।
গত(২৭ নভেম্বর ২০২৪) রোজ বুধবার সকাল ১০ টায় তজুমদ্দিন উপজেলা সভাকক্ষে জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ দেবনাথ। তিনি বলেন যুগে যুগে স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা অনেক আন্দোলন করেছে তবে বাংলাদেশে ইতিহাসে এই আন্দোলনটি ইতিবাচক। ছাত্র-জনতা তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করে দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর তারা তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে । ইতিহাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যখনই কোন দুঃশাসন হয় যখন কোন পাপাচারে ভরে যায় তখন কোন বিপ্লবের মাধ্যমে পৃথিবী তার পাপমুক্ত হয়। কিন্তু আমাদের ইতিহাসে বহু বিপ্লব হয়েছে যারা যেই উদ্দেশ্যে বিপ্লব করেছে তারা সেই লক্ষ্যে অনেকেই পৌঁছাতে পারে না । যে কোন বিপ্লব যে উদ্দেশ্যে শুরু হয় সেই উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব দরকার হয়। ২০২৪ সালের ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থান একটি ইতিহাস রচনা করেছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তজুমদ্দিন উপজেলা আহ্বায়ক গোলাপ মোস্তফা মিন্টু। তিনি বলেন ছাত্র- জনতা গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকব সব সময়। আর যারা আহত হয়েছে আমাদের দাবি থাকবে বর্তমান সরকার যেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তজুমদ্দিন উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রব।
উপজেলা আমির বলেন গত ১৬টি বছর স্বৈরাচার আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। স্বৈরাচার শাসক বিরোধী দলকে দমন নিপীড়ন করে শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়ে আমাদের প্রায়ই ২০০০ ছাত্র জনতাকে শহীদ করেছে এবং অগণিত ছাত্র-জনতাকে আহত করেছে । শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শাসক কে এদেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। দেশে যারা সেই স্বৈরাচারের দোসর রয়েছে তারা কিন্তু বসে নেই তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে যা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। প্রশাসনকে আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করবো আমরাও তাদেরকে সহযোগিতা করব। যেন এই দেশে আর কোন স্বৈরাচারের শাসন কায়েম না হয়।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আহত ও শহীদদের পাশে ছিল সামনের দিনগুলো থাকবে। আমাদের দাবি হলো সরকার যেন শহীদ পরিবারে কে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে এবং আহত যারা রয়েছেন তাদেরকে সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। যে সন্তান পিতা হারিয়েছে সে সন্তান যেন পিতার অভাব না বুঝতে পারে সরকার সেই দায়িত্ব নিবে বলে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি এবং সকল বীরদেরকে বীরত্ব খেতাব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে।
আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষকবৃন্দ আলেম-ওলামা বীর যোদ্ধা ছাত্র- জনতার আহত পরিবার এর সদস্য নিহিত পরিবারের সদস্যবৃন্দ । মিডিয়া হাউজ তজুমদ্দিনের সাংবাদিকবৃন্দ ও তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সাংবাদিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে নিহত পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় পরিশেষে আহত ও নিহতদের স্মরণে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সভাপতি অনুষ্ঠান এর সমাপনী ঘোষণা করেন।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান