তুহিন খন্দকার, ভোলা: ভোলা সেনা সদস্য ছুটিতে এসে পুলিশ কনস্টেবল পদে লিখিত পরীক্ষা দিতে এসে মোহাম্মদ আরিফ (১৯) নামের এক পরীক্ষার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৮ ঘটিকায় ভোলা ইলিশা রোড সরকারি বালক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান গেইটের সামনে পরীক্ষার্থী মোঃ আরিফ এর উপর সনজিদ নামের এক সেনা সদস্য’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আরিফ ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ৭ নং ওয়ার্ডের ইউ’পি সদস্য শামসুদ্দিন মিয়া ছেলে। হামলাকারী ওই এলাকার রফিকের ছেলে সানজিদ।
হামলার শিকার আরিফ জানায়, শুক্রবার সকালে পুলিশ কনস্টেবল পদে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভোলা সরকারি স্কুল গেইটে আসেন আরিফ।
পূর্ব শত্রু তার জেরে রফিকের ছেলে চট্টগ্রামে কর্মরত সেনা সদস্য সানজিদ ছুটিতে এসে তার নেতৃত্বে মোঃ সৈকত ও লালমোহন রমাগঞ্জ রাহাদুল হক এর ছেলে শামীম আর অজ্ঞত কয়েক জন মিলে আরিফের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সানজিদকে প্রধান আসামি করে ভোলা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আরিফ।
আরিফ আরো জানায়, কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। আরিফ ভোলা সদরে এসে পুলিশ লাইন্স মাঠে লাইনে দাড়ায়। হামলায় পরিকল্পনাকারী সেনা সদস্য সনজিদ বিষয়টি জানতে পেরে আরিফ যেন কোন ভাবে চাকুরীতে দাড়াতে না পারে এবং মারধর করার ষড়যন্ত্র করে চট্টগ্রাম থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। আরিফের এক বন্ধুর কাছে সানজিদ ফোন করে আরিফের রোল নাম্বার জানার চেষ্টা করে এবং আরিফকে কিছুতেই পুলিশ কনস্টেবলে চাকরি হতে দেবে না বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করার একটি কল রেকর্ড পাওয়া যায়।
এ সময় হামলাকারীরা আরিফের পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিড়ে ফেলে এবং মারধর করে শার্ট ছিড়ে ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় আরিফের ডাকচিৎকারে লোকজন উদ্ধার করতে আসলে হামলাকারীরা আরিফকে প্রকাশ্যে প্রান নাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরবর্তীতে ভোলা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহায়তায় আরিফ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন।
হামলার পুরো ঘটনা স্কুলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ধারন করা থাকতে পারে বলে জানায় আরিফ। ওই ঘটনায় ভোলা সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা সদস্য সানজিদ জানায়, আরিফ ও তার বাবা শামসুদ্দিন মেম্বারের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জোর ধরে কিছুদিন পূর্বে আমার বাবা ও পরিবারের সবাইকে কুপিয়ে যখন করে। ওই ঘটনায় আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব তাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। আরিফ ভোলায় পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষা দিতে গেলে আমার এক বন্ধু তাকে দেখে তার প্রবেশপত্র নিয়ে ছিড়ে ফেলে। এছাড়া আর কোন ঘটনা ঘটেনি এবং আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না বলে দাবি করেন অভিযুক্ত সানজিদ।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাহাদাৎ মোঃ হাচনাইন পারভেজ জানান, পুলিশ কনস্টেবল পদে পরীক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান