ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
মাগুরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও মেয়েসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২০ জন।
আজ সোমবার দুপুর ও সকালে এই দুই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাগুরায় নিহত বাবা-মেয়ে হলো শালিখার হরিশপুর গ্রামের মমতাজ হোসেন, তার শিশুকন্যা সুমাইয়া। ঠাকুরগাঁওয়ে নিহত দুজন হলেন বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার আব্দুর রহিম ও আরিফ মাহামুদ।
শালিখা থানা ও ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শালিখা থানার ওসি রবিউল হোসেন জানান, আজ দুপুরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আড়পাড়া বাজার থেকে ভ্যানে শতখালির দিকে যাচ্ছিলেন মমতাজ। পথিমধ্যে একটি ইজিবাইকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তাদের ভ্যানটি উল্টে যায়। এ সময় সোহাগ পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চারজনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে সকালে ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কের ২৯ মাইল এলাকায় বিআরটিসি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাসের সুপারভাইজার আব্দুর রহিম ও আরিফ মাহামুদ নিহত হন। আহত হন আরও ১৮ জন। আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আব্দুর রহিমের বাড়ি বগুড়া জেলার সুত্রাপুর গ্রামে। আরিফ মাহামুদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার বান্দিনগড়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা বিআরটিসি বাসটি ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কের ২৯ মাইল পৌঁছলে অপরদিক থেকে আসা ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ও হেলপারসহ কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর বাসের সুপারভাইজার আব্দুর রহিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আরিফ মাহামুদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে পথে মৃত্যু হয় তার।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৮জুন-২০১৮ইং)