মনপুরায় বিএনপি নেতা মন্নান বাহিনীর তাণ্ডব-ভাঙচুর, থানায় মামলা।

ভোলা প্রতিনিধি।।ভোলার মনপুরায় বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান হাজিরহাট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বাঁধের হাট বাজারের ঘরটি ভাঙচুর করে নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন, মনপুরা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মন্নান চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা। শিক্ষক আনোয়ার মাষ্টার অভিযোগ করে বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পরপর মন্নান চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার ভোগদখলিও বাজারের ঘরটি তালা মেরে দেন । বিষয়টি আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের নিকট জানালে মন্নান চেয়ারম্যান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে, মন্নান বাহিনীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা ঘরটি ভাঙচুর করে দেন এবং আমাকে প্রকাশ্যে মামলা হামলা ও হত্যার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেছি। মূলত ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে মন্নান চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা আমার ঘরটি ভাঙচুর করেন ।

শিক্ষক আনোয়ার হোসেন আরো অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পরপর মন্নান চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা মনপুরার বিভিন্ন চর, হাট বাজার,লঞ্চ ঘাট নিজেদের দখল করে নেন। গেল কয়েকদিন আগে, মনপুরারা লঞ্চঘাটে নুরনবী কেরানিকে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করেন মন্নান চেয়ারম্যানের ছেলের তানভীর ও আপন হাওলাদার পরবর্তীতে বিষয়টি নেট দুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়।। এছাড়াও বাধের হাট বাজারে ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে অলিম্পিক কোম্পানির আব্বাস ডিলারকে বাগা দিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করেন মন্নান চেয়ারম্যানের দুই ছেলে ও তার অনুসারীরা। মনপুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনপুরা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া মন্নান চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই। গেল কয়েকদিন আগে মনপুরা উপজেলা নির্বাচনে তার জামাই পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।ভোট না দেওয়ার অপরাধে অনেক সাধারণ বিএনপি’র ভোটারদের মারধর করেন। মূলত মান্নান চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা বিএনপি- আওয়ামীলীগ উভয় দলে থেকে সুবিধা গ্রহণ করেন।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মন্নান চেয়ারম্যান নিকট  জানতে চাইলে মুটে ফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তার ব্যবহার কৃত ফোনটা বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর জানান, সন্ত্রাসী কোন দলের নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।

বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাইসুল আলম জানান, কোন ব্যক্তি অপকর্মের দায় দল নিবে না। অচিরেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, মামলাটি তদন্ত চলমান, মনপুরা থানার এসআই মামুনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ, মনপুরা উপজেলা বিএনপি থেকে মনোনয়ন পদ প্রত্যাশী সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম অন্যদিকে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন।। অভিযুক্ত মন্নান চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম গ্রুপের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে এ ধরনের কর্মকান্ড করছেন বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE