মনপুরার মন্নান চেয়ারম্যানের নৈরাজ্য, বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতির ঘর ভাঙচুর।

ডেস্ক রিপোর্ট

ভোলার মনপুরায় বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও হাজিরহাট ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার মাষ্টারের বাঁধের হাট এলাকার বাজারের ঘরটি ভাঙচুর করে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন, মনপুরা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মন্নান চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা। শিক্ষক আনোয়ার মাষ্টার অভিযোগ করে বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পরপর মন্নান চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার ভোগদখলিও বাজারের ঘরটি তালা মেরে দেন । বিষয়টি আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের নিকট জানালে মন্নান চেয়ারম্যান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে, মন্নান বাহিনীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা ঘরটি ভাঙচুর করে দেন এবং আমাকে প্রকাশ্যে মামলা হামলা ও হত্যার হুমকি দেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি গত ১৭ বছর আওয়ামীলীগ দূ শাসনের প্রতিহিংসার শিকার, শুধুমাত্র বিএনপি করার অপরাধে আমার কর্মরত বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ পাই নাই।। মূলত ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে মান্নান চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা আমার ঘরটি ভাঙচুর করেন।

আরো অভিযোগ রয়েছে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পরপর মন্নান চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা মনপুরার বিভিন্ন চর, হাট বাজার,লঞ্চ ঘাট নিজেদের দখল করে নেন। গেল কয়েকদিন আগে, মনপুরারা লঞ্চঘাটে নুরনবী কেরানিকে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করেন মন্নান চেয়ারম্যানের ছেলের তানভীর ও আপন হাওলাদার পরবর্তীতে বিষয়টি নেট দুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়।। এছাড়াও বাধের হাট বাজারে ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে অলিম্পিক কোম্পানির আব্বাস ডিলারকে বাগা দিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করেন মন্নান চেয়ারম্যানের দুই ছেলে ও তার অনুসারীরা।

এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি একাদিক সূত্রে অভিযোগ রয়েছে মনপুরায় চলছে জামাই শশুরের নেতৃত্বে বিএনপির ও আওয়ামী লীগ। অভিযুক্ত শশুর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মন্নান হাওলাদার অন্যদিকে তার জামাই মনপুরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া। পতন হওয়া আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের আমলে জামাই জাকির হোসেন মিয়ার প্রভাব খাটি মনপুরায় বেশ সুবিধাজন অবস্থানে ছিল মন্নান চেয়ারম্যান পরিবার ও তার অনুসারীরা।। আরো অভিযোগ রয়েছে, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অভিযুক্ত মন্নান চেয়ারম্যানের অনুসারীরা তার জামাই জাকির হোসেন মিয়ার নির্বাচন করেন এবং অসংখ্য বিএনপি’র মানুষদের উপর মারধর করেন তার ভোট না দেওয়া।

বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর জানান, কোন নৈরাজ্যকারীদের স্থান বিএনপিতে হবে না, আপনারা নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে লিখুন। কোন সন্ত্রাসী দলের নয়।

বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাইসুল আলম জানান, শিক্ষক আনোয়ার মাস্টার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে জেলা কমিটির সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মন্নান চেয়ারম্যান কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।তবে এ বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, মনপুরা বিএনপির মন্নান চেয়ারম্যানের বড় মেয়ের জামাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিয়ার।। আনোয়ার মাস্টার হাজিরহাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE