ডেস্ক রিপোর্ট।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে ভোলা জেলা আ’লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
রবিবার ২৩ জুন সকাল ১১ টার সময় জেলা আ’লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী ও ভোলা সদর আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি এড.জুলফিকার আহমেদ,উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নজুরুল ইসলাম গোলদার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও নব নির্বাচিত জনপ্রিয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ, এনামুল হক আরজু,জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃসফিকুল ইসলাম, সালাউদ্দিন লিংকন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রনি,দপ্তর সম্পাদক সামসুদ্দিন আহমেদ,উপ দপ্তর সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র, দে,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সহ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এসময় অতিথিদের বক্তব্য জেলা আ’লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ২৩ জুন।এদিন দেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করছে। গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। অনুরূপভাবে গৌরব, সাফল্য ও অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী।
তিনি আরো বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর পরে যে এ দলটির হাল ধরেছেন তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন,
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ভূখন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার দিন ঐতিহাসিক ২৩ জুন অঙ্কুরিত হয়েছিল ‘স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নসূত্র’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজ মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,প্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয়ের নির্দেশেই প্রিয় ভাই জেলা আ’লীগের সফল সাধারন সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব নেতা কর্মী কে বুকে আগলিয়ে রেখে তার ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি সংগঠনকে ১৩ টি ইউনিয়নে শক্তিশালীতে রুপান্তরিত করেছেন। নেতা কর্মীরা তার প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে তার কথা রেখেছেন এবং প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। আজ ভোলা জেলা আ’লীগ শক্তিশালি ঘাটিতে রুপান্তিত হয়েছে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান