বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলা নিউজ-১১.০৬.১৮
ভোলা বিএনপির সম্পাদক ট্রুম্যান কে থানা বিএনপি সভাপতির আল্টিমেটাম ও হুমকি। ভোলার রাজনৈক অঙ্গনে নতুন করে তোলপার শুরু হয়েছে। আজ ১ সপ্তাহের আল্টিমেটামের শেষ দিনের দিকেই তাকিয়ে পুরো জেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা।
ভোলা জেলা বিএনপির সম্পাদক হারুনুর রসিদ ট্রুম্যানকে ৭ দিনের মধ্যে জেলা যুবদলের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন থানা বিএনপি সভাপতি আসিফ আলতাফ। তা না হলে সাংগঠনিক ব্যাবস্তা নিবেন বলে সাফ জানিয়েদেন এ থানা বিএনপি নেতা। থানা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ ট্রুম্যান কে দায়ী করে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা বিএনপির সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান জেলা বিএনপির সভাপতি ও সকল নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে জেলা যুবদলের কমিটি গঠন করেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অসাংগঠিনক। আমরাও চাই জেলা যুবদলের শক্তিশালী কমিটি হোক কিন্তু সেই কমিটি হতে হবে সকলের মতামতের ভিত্তিতে। রাতের আধারে হীন উদ্দেশ্যে পকেট কমিটি নিয়ে আসবেন জেলা সভাপতি ও অন্য নেতারা জানবে না তা হয় না। আমরা জেলা বিএনপির সভাপতির নির্দেশ ক্রমে এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করলাম। জেলা যুবদলের সৃষ্ট সমস্যা সৃষ্টি করেছেন হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান তাকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে যুবদলের কমিটি রদবদল বা স্তগিত করতে হবে তা না হলে ট্রুম্যান বিরুদ্ধে জেলা বিএনপি সাংগঠনিক ব্যাবস্তা গ্রহন করবে। তিনি আরো বলেন, ট্রুম্যান ভাইকে আমি সম্পাদক বানিয়েছি। আজ আমার নাম বিক্রি করছে। ট্রুম্যান ভাই এসব অপরাজনীতি বন্ধ করুন। তা না হলে আপনার রাজনীতির ইতিটানতে হবে।
আসিফ আলতাফের ৭ দিনের আল্টিমেটাম আজ শেষ হলেও যুবদলের নতুন কমিটির কোন পরিবর্তন হয়নি। হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলেও ভোলা নিউজকে জানিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তা হলে আসিফ আলতাফের অরাজনৈতিক এ ধরনের বক্তব্য বিএনপিকে দু’ভাগে ভাগে করেছে। এর খেসারত ভোলা বিএনপিকে দীর্ঘ মেয়াদে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা জানান, আসিফ আলতাফ ভোলার রাজনিতির দিকপাল মোশারফ হোসেন শাজাহান এর পুত্র হিসেবেই আজ থানা বিএনপির মত বড় পদে এসেছেন। তার সে দিকে লক্ষ রেখেই কথা বলতে হবে নচেৎ বিএনপি সাংঘঠনিক ভাবে এর খেসারত দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও দীর্ঘ্য দিনের ভোলা জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাবেক ছাত্র নেতা ইয়ারুল আলম লিটন ভোলা নিউজকে তার একান্ত আলাপ চারিতায় বলেন, আমি আগেও চেয়েছি এখনো চাই ভোলা বিএনপি ও তার প্রতিটি অঙ্গ সংঘঠন সকল নেতা কর্মিদের পরামর্শ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলুক। আমিই প্রথম ব্যাক্তি যিনি স্বেচ্ছায় যুবদল থেকে সরে গিয়ে নতুন ও ত্যাগীদের যায়গা করে দিয়েছি। আমি চাই সকলে মিলে সুন্দর ভাবে যুবদলসহ সকল অঙ্গ সংঘঠন সুচারু ভাবে চলুক। আসিফ আলতাফ সাহেবের বক্তব্য এটা একান্তই তার নিজের বক্তব্য। তবে পদধারীদের বক্তব্যে আমাদের প্রত্যেককেই আরো সচেতন হতে হবে। আমাদের সস্তা আবেগে পুরো দলই ক্ষতি গ্রস্থ হতে পরে, সেদিকে আমাদের প্রত্যেককে খেয়াল রাখতে হবে।
জেলা বিনপির সম্পাদককে থানা বিএনপির সভাপতির আল্টিমেটামের আজ শেষ দিন। এর পর কি ধরনের নাটক অপেক্ষা করছে তাই দেখার অপেক্ষায় ভোলার রাজ নৈতিক সচেতন মহল।